নৌযান ধর্মঘটে অচল চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর

আজাদী অনলাইন | মঙ্গলবার , ২০ অক্টোবর, ২০২০ at ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ

বেতন-ভাতার সুযোগ-সুবিধাসহ ১১ দফা দাবি আদায়ে রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে শুরু হওয়া নৌযান ধমর্ঘটে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়বেন বলে আশঙ্কা করেছেন আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা।

এদিকে ধর্মঘটের সমর্থনে মধ্যরাত থেকেই কাজে যোগ দেয়া থেকে বিরত থেকেছেন বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের আওতাধীন আটটি সংগঠনের শ্রমিক নেতাকর্মীরা। এ কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের পার্শ্ববর্তী ১৬টি ঘাটে অলস বসে আছে শত শত লাইটারেজ জাহাজ এবং অয়েল ট্যাংকার। মঙ্গলবার সকাল ৭টার পর থেকে কোনো লাইটারেজ জাহাজই বহির্নোঙরে যায়নি। এমনকি আগে থেকে পণ্য খালাসে থাকা জাহাজগুলোও খালাস শেষ না করে ঘাটে ফিরে এসেছে।

মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম জেলা নৌশ্রমিক অধিকার সংরক্ষণ ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি মো. নবী আলম বলেন, ‌‘সকাল থেকে শ্রমিকরা কাজে যোগ দেয়নি। আমি সারাদেশের সংগঠনগুলোর সঙ্গেও কথা বলেছি, তারাও ধর্মঘট পালন করছে। বিকেলে ৩টায় বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের মিটিং আছে। মিটিং শেষ আমরা মিছিলও করব। আমরা যে দাবিতে ধর্মঘট ডেকেছি সেগুলো পূর্বনির্ধারিত। করোনার কারণে এতদিন চুপ ছিলাম। এখন শ্রমিকদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘গত নভেম্বরেও আমরা আন্দোলন শুরু করার পর সরকার ও মালিকদের পক্ষ থেকে আমাদের বলা হলো- দাবি মানা হবে। কিন্তু তারা ওয়াদা ভঙ্গ করেছে, তাই ধর্মঘটে বাধ্য হয়েছি। এবার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট প্রত্যাহার করব না।’

তিনি জানান, গত ১৩ অক্টোবর রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম অধিদফতরের সামনে নৌশ্রমিক অধিকার সংরক্ষণ ঐক্য পরিষদের মানববন্ধন থেকে এই ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়। এর আগে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ডে ট্রাক চাপায় পথচারী নিহত
পরবর্তী নিবন্ধশ্রমিকের স্বার্থ সুরক্ষায় সৎ যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তোলার তাগিদ