একটি শিশু জাতির ভবিষ্যৎ। তবে সেই শিশু যদি এতিম, নিরুপায় এবং অপরাধপ্রবণ দোসরদের দ্বারা পরিচালিত হয়ে নেশার শিকার হয়, তাহলে সে ভবিষ্যৎ অন্ধকারে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। চট্টগ্রামের হালিশহর বড়পোল এলাকা এই সমস্যারই এক ভয়ংকর উদাহরণ। এখানে পথশিশুরা নিয়মিত সলিউশন গাম ব্যবহার করে নেশায় আসক্ত হচ্ছে। নিজেদের নেশার চাহিদা মেটাতে তারা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রাক থেকে লোহা চুরি করে, যা তাদের জীবনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। এমনকি চলন্ত ট্রাক থেকে পড়ে মৃত্যুর ঘটনাও প্রায়শই শোনা যায়। তাদের এই অপরাধপ্রবণতা শুধু চুরির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; সন্ধ্যার পর বড়পোল এলাকার বিভিন্ন ব্যাংক এবং এটিএম বুথগুলোর আশপাশে তারা ওত পেতে থাকে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে। আটক হওয়া শিশুদের কাছ থেকে জানা গেছে, তাদের এসব কাজে প্ররোচিত করছে কিছু স্বার্থান্বেষী দোসর।
এ সমস্যার সমাধানে, আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এসব শিশুকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত না করে, তাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিতে হবে। যথাযথ কর্তৃপক্ষ ও মানবিক সংগঠনগুলো এগিয়ে এসে রিহ্যাবিটেশন সেন্টার তৈরি করতে পারে, যেখানে তারা সঠিক দিকনির্দেশনা এবং ভালোবাসা পাবে। পাশাপাশি, যারা তাদের এ অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা অত্যন্ত জরুরি। অতএব, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সাইমা হাসান
শিক্ষার্থী, অনার্স ২য় বর্ষ, বাংলা বিভাগ, চট্টগ্রাম কলেজ।