নেদারল্যান্ডসে প্রশিক্ষণে গিয়ে নিখোঁজ সিএমপির ২ কনস্টেবল

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২৮ মে, ২০২২ at ৭:৩২ পূর্বাহ্ণ

নেদারল্যান্ডস থেকে প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে আসেননি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) দুই কনস্টেবল। ডগ স্কোয়াডের কুকুর ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা বিষয়ক প্রশিক্ষণের জন্য সিএমপির বায়েজিদ বোস্তামী জোনের সহকারী কমিশনারের নেতৃত্বে গত ৯ মে ৮ সদস্য বিশিষ্ট এ টিমটি নেদারল্যান্ডস যায়। ১৫ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে অংশ নিয়ে গত ২৪ মে দলের ছয় জন সদস্য দেশে ফিরে আসলেও দুইজন আসেননি। ফিরে আসা সদস্যরা জানিয়েছেন, ফিরতি ফ্লাইটের আগের দিন ওই দু’জন ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে হোটেল থেকে বেরিয়েছিলেন। সঙ্গীরা তাদের আর কোনো খোঁজ পাননি। খোঁজ না পেয়ে ৬ সদস্য দেশে ফিরে আসেন। সিএমপির উপ-কমিশনার (সদর) আমির জাফর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, তাদের বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে ‘মিসিং রিপোর্ট’ করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া দুই কনস্টেবল হলেন, রাসেল চন্দ্র দে ও শাহ আলম। রাসেলের বাড়ি কক্সবাজার ও শাহ আলমের বাড়ি কুমিল্লায়। রাসেল সিএমপির দামপাড়া পুলিশ লাইন ও শাহ আলম মনসুরাবাদ পুলিশ লাইনের ব্যারাকে থাকতেন।
প্রসঙ্গতঃ সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম (সিটি) ইউনিটের অধীনে ডগ স্কোয়াড গঠনের জন্য গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে পুলিশ সদর দপ্তরে একটি প্রস্তাব পাঠায় সিএমপি। স্কোয়াডে দুই প্রজাতির বেশ কিছু কুকুর রাখার কথা বলা হয়। সেজন্যই নেদারল্যান্ডে ‘কুকুরের ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা’ শীর্ষক প্রশিক্ষণে অংশ নিতে যাওয়া সিএমপির দুই কনস্টেবলের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সিএমপি বলছে, ওই দুই কনস্টেবল পালিয়েছেন নাকি কোনো দুর্ঘটনায় পড়েছেন তা এখন পর্যন্ত তারা জানতে পারে নি।
ইতোমধ্যে তাদের বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে জানিয়ে সিএমপির উপ কমিশনার আমির জাফর আরো বলেন, পুলিশ সদর দপ্তর, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও দূতাবাসের মাধ্যমে তাদের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। আর তারা দেশে ফিরলে তাদের বিরুদ্ধে শৃংখলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হবে বলেও জানান তিনি।
সিএমপি সূত্রে জানা গেছে, ডগ স্কোয়াড গঠনের লক্ষ্যে কুকুর সরবরাহ এবং প্রশিক্ষণের দায়িত্ব পায় মেসার্স রিফা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। সে অনুযায়ী ‘ম্যানেজমেন্ট, হ্যান্ডলিং অ্যান্ড ট্রেইনিং অব ডগ’ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে আট সদস্যের প্রতিনিধি দলটি নেদারল্যান্ড গিয়েছিল। সহকারী পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনের নেতৃত্বে ওই দলে ছিলেন একজন এসআই (সশস্ত্র), একজন নায়েক এবং পাঁচজন কনস্টেবল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকালুরঘাট সেতুতে তেলবাহী ট্রেনের গার্ড ব্রেক লাইনচ্যুত
পরবর্তী নিবন্ধরোহিঙ্গা ফেরাতে এশিয়ার নেতাদের সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী