নেতা নির্ভর কাট্টলী

সাহাদাত হোসাইন সাহেদ | সোমবার , ১৬ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৮:০৬ পূর্বাহ্ণ

সুন্দর সুস্থ সবল ও জ্ঞানীর আবাস কাট্টলী। যুগে যুগে কাট্টলী নেতা সৃষ্টি করে দেশ ও জাতিকে করেছেন উপকৃত। আর এখন কী হচ্ছে? কী দেখছে বর্তমান প্রজন্ম?

ইদানীং সব রাজনৈতিক দলগুলোতে কর্মী নেই। সবই নেতা। আমরা সবাই নেতার রাজত্বে। তাতে যা হবার তা হচ্ছে। আগ্রাসী মনোভাবর প্রাধান্য বাড়ছে। অরক্ষিত বলে কিছু থাকে কিনা সন্দেহ? থাকার পর্যায়ে আমি আপনি আছি তৃণমুল সমৃদ্ধকর্মী ক্রীতদাশ হয়ে, বলুন উপায কী? আমরা সময়ে ব্যবহৃত হই, আর ঘাট পেরুলে শার্ট পাল্টানোর মত ছুড়ে পড়ি টাস্টবিনে। হায়রে কপাল! অখাদ্য কুখাদ্য নেতার মোহনী আদলে বিশাল নেতার আগমনী কার্যক্রম কি ভালো হতে পারে? দলের দুঃসময়ে কেউ ছিল কিনা বলতে পারবেন? অথচ আজ তারা বাহারী নেতা কাট্টলীর মতো এলাকায়। বিধাতা আর কী দেখতে হবে?

আপনি এদের কার্যক্রম ও শিক্ষাদীক্ষার খোঁজ খবর নিলেই থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। তাই বলি, এদের থেকে ক্ষমতা অপপ্রয়োগ ছাড়া কি ভালো কিছু আশা করতে পারেন?

আমি কাব্যের লোক, এমন অনিশ্চিত কর্মসূচি ও কর্ম আমাকে পীড়া দে, মনের যন্ত্রণায় দগ্ধ হয় বলে কিছু কথা উপস্থাপন করি, সোচ্ছার হয়। কিন্তু কথায় আছে, কার কথা কে শুনে? সমাজ নির্মাণের কোনো কর্ম অনৈতিক বা ক্রটিপূর্ণ মনে হলে নেতার কাছে ফোন দিয়ে হলেও জানতে আগ্রহী হই। ফোন রিসিভ হয় না। বার বার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই। বুঝা যায় উদাসীন শিষ্টাচারে অবস্থান আমি আমরা কালে তালিকার হিসাবে। অতএব, যা বলি না কেন,অরণ্য রোদন। বন্ধুরা আমাকে ভুল ভেব না। ক্ষমা করে দিও।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগ্রামীণ ঐতিহ্য খেজুর গাছ বাঁচিয়ে রাখার আবেদন
পরবর্তী নিবন্ধজাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা