নেতাকর্মীদের কড়া বার্তা দিলেন পরশ

পদ পেতে উপঢৌকন বা টাকা দিতে হবে না ।। যুবলীগে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজদের স্থান নেই।। উত্তর জেলা যুবলীগের সম্মেলন

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৩০ মে, ২০২২ at ৮:১৭ পূর্বাহ্ণ

 

 

 

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সম্মেলনে দলের নেতাকর্মীদের কড়া বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশ যুবলীগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শেখ ফজলে শামস পরশ। তিনি বলেন, অতীতে দেখেছি সাংগঠনিক পদপদবি ব্যবহার করে অনেকেই দুর্নীতি করেছে, চাঁদাবাজি করেছে। আমি প্রকাশ্যে কথা দিচ্ছি, আমাদের কাছ থেকে পদ পেতে কোনো ধরনের উপঢৌকন বা টাকা দিতে হবে না। কোনো আর্থিক সহায়তা লাগবে না। সুতরাং আমাদের প্রত্যাশা পদপদবি নিয়ে আপনারা টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি বা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবেন না। নিজের কথা ভাবার আগে দলের কথা ভাববেন। ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে ওঠে রাজনীতি করতে হবে। নিজের জন্য না, সমাজের জন্য রাজনীতি করতে হবে। দলের মধ্যে ভুঁঁইফোড়দের রাজত্বের অবসান করতে হবে।

গতকাল রোববার দুপুরে হাটহাজারী পার্বতী স্কুলমাঠে উত্তর জেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধক ও প্রধান অতিথির বক্তব্যে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, একটা শুদ্ধি অভিযানের মধ্যদিয়ে আজকের মানবিক যুবলীগের সৃষ্টি। এই যুবলীগে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজদের কোনো স্থান নেই। যুবলীগের পদ মানে নিজের পকেট ভারী করা নয়। যারা যুবলীগের নাম ও পদ ভাঙিয়ে নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত, তারা কখনো যুবলীগের কেউ হতে পারে না।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সম্পাদক হবেন অথচ নেতাকর্মীদের স্বাস্থ্যের খবর নিবেন না। মহিল সম্পাদিকা হবেন আর নির্যাতিত, নিপীড়িত মহিলাদের খোঁজখবর রাখবেন না। আইন সম্পাদক হবেন আর নেতাকর্মীদের আইনি সাহায্য দিবেন না। এ রকম নেতা আমাদের সংগঠনে দরকার নাই। এ রকম নেতাকর্মীদের নিয়ে সামনে যেদিন আসছে আমরা বেশিদূর আগাতে পারব না। আর সাংগঠনিক পদপদবি বাজার থেকে কিনে আনা কোনো বাজারি পণ্য না যে চাইলেন পেয়ে যাবেন। যতদিন বাংলাদেশে দুখীদরিদ্র থাকবে ততদিন আমাদের এ মানবিক কাজ অব্যাহত থাকবে।

ভবিষ্যতে যুবলীগ বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে মন্তব্য করে পরশ বলেন, যুবলীগের দুটি দায়িত্ব। প্রথমত যুবলীগকে যেকোনো মূল্যে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে সকল ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করতে হবে। দ্বিতীয়ত রক্ষা করতে হবে বঙ্গবন্ধু কন্যার সকল অর্জন। তিনি বাংলাদেশকে সম্মান এনে দিয়েছেন, সফলতা এনে দিয়েছেন। এ সম্মান আমাদের ধরে রাখতে হবে। আমাদের নির্ণয় করতে হবে কীভাবে আমরা এ বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। সেজন্য আমাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। আমাদের সামনে অনেক প্রতিকূলতা। একদিকে আমাদের বঙ্গবন্ধু কন্যার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে। আবার রাস্তায় আন্দোলন, সংগ্রাম করার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। অন্যদিকে, শান্তির বাংলাদেশ গড়ার জন্য যুব সমাজকে যুব শক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে।

দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আপনাদের কাছে অনুরোধ, আপনারা দুর্নীতিগ্রস্ত হবেন না। দুর্নীতি নামক এ রোগ সমাজে ঢুকলে এর থেকে মুক্তি পাওয়া কষ্টকর। তবে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব এবং এটা আমাদের প্রজন্মকে করতে হবে। যুবলীগকেই করতে হবে। যুবলীগ দুর্নীতি নিয়ন্ত্রিত সমাজব্যবস্থা গঠন করবে। আর ধাপে ধাপে নিয়মতান্ত্রিকভাবে আত্মসংশোধনের মাধ্যমে দুর্নীতিকে বর্জন করা সম্ভব।

তিনি বলেন, সামনে আমাদের নির্বাচন। এই নির্বাচনে যুবলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। মানুষের কাছে যেতে হবে। দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে হবে। যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে। এজন্য দলের জন্য আন্তরিকতা, দৃঢ়তা এবং শক্তির দরকার।

তিনি আরো বলেন, যুবলীগে অনুপ্রবেশকারীদের রাজত্ব বন্ধ করতে হবে। আমি আশা করি ত্যাগী, সাংগঠনিকভাবে অভিজ্ঞ ও দক্ষ নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন হবে। যারা দলের দুঃসময়ে সংগ্রাম করেছেন, জেলজুলুম, ত্যাগতিতিক্ষা, অত্যাচার সহ্য করেছেন, তাদেরকে আপনারা বিবেচনা করবেন।

সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক এম এ সালাম। প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। বিশেষ অতিথি ছিলেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. আতাউর রহমান, সংসদ সদস্য দিদারুল আলম ও সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, কেন্দ্রীয় যুবলীগ চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম প্রমুখ।

বাংলাদেশ কোনোদিন শ্রীলঙ্কা হবে না জানিয়ে হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, দেশে যে বড় বড় বিনিয়োগ করা হয়েছে তা প্রায় পুরোপুরি শেষ। এখন পদ্মা সেতুতে বিনিয়োগ শেষ। পদ্মা সেতু এখন উল্টো টাকা দেবে। এছাড়া কর্ণফুলী টানেলের যে প্রকল্প তাতে বেশিরভাগ কাজ শেষ। অন্যদিকে মাদারবাড়ীতে গভীর সমুদ্র বন্দর হচ্ছে। তাতেও সরকার বিনিয়োগ করছে। বাংলাদেশের এসব প্রকল্পে ব্যাংক ঋণ নেয়া হয়েছে মাত্র ২ শতাংশ সুদে, যা ২০২৫ বছরে পরিশোধ করতে হবে। সুতরাং দেশের অগ্রগতি দেখে বোঝাই যায় বাংলাদেশ কখনো শ্রীলঙ্কা হবে না। কারণ দেশের যে উন্নয়ন হচ্ছে তার ঋণ ব্যাংক থেকে নেওয়া।

তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকলের সাথে পরামর্শ করে, গবেষণা করে, ফাইল দেখে মানুষের সাথে কথা বলে সবকিছু করেন। পরিকল্পনা নিয়ে দেশকে পরিচালনা করেন। তিনি খালেদা জিয়ার মতো সুতো টেনে দেশ চালান না।

উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম বলেন, আজকে যারা যুবলীগের কর্মী বা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, ২০০৯ সালে যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সরকার গঠন করেন তখন তাদের বয়স ছিল ১৫ বছর। আজকে তারা যুবক। তারা ক্ষমতা দেখেছে, আনন্দ দেখেছে; আওয়ামী লীগের কৃঞ্চপক্ষ দেখেনি, সুযোগ হয়নি। তখন তাদের জন্ম হয়নি। তারা শুধু আওয়ামী লীগের শুক্লপক্ষ দেখেছে। আজকে যারা যুবক, যারা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা, তারা যুবলীগের, আওয়ামী লীগের দুঃসময় দেখেনি, তাদের ত্যাগ তিতিক্ষার ইতিহাস জানে না। আজকের যুবলীগের নেতাকর্মীদের, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের রাজনীতি করতে হলে সেই রক্তাক্ত ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে।

প্রধান বক্তা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বাংলাদেশে ইসলামের যদি কোনো খাদেম থেকে থাকেন তিনি হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনিই ইসলামের প্রকৃত বন্ধু। বঙ্গবন্ধুই এই দেশে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড গঠন করেছেন। ওআইসিতে বাংলাদেশের সদস্যপদ গ্রহণ করেছেন। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেন প্রতিষ্ঠা করেছেন, তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার জন্য জায়গা দিয়েছেন। যেখানে সারা বিশ্বের মুসলমান নামাজ আদায় করতে আসেন।

কওমি মাদ্রাসার আলেমদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা দীর্ঘ সময় বিএনপির পিছনে ঘুরেছেন সনদ পাবার আশায়। বিএনপিজামায়াত আপনাদের ব্যবহার করেছে। সনদ দেবে বলে ঝুলিয়ে রেখেছে। ইসলামের নাম ব্যবহার করে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছেন। সনদ তারা দেয়নি। সম্মান তারা দেয়নি। কিন্তু সনদ দিয়েছেন, সম্মান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, বিএনপিজামায়াত দেশের মানুষের কল্যাণ চায় না। তারা ইসলামকে ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যেতে চায়। আমি বিশ্বাস করি আজকের এ সম্মেলন থেকে যে নেতৃত্ব বের হয়ে আসবে সেই নেতৃত্ব ওয়ার্ড থেকে ইউনিয়ন, ইউনিয়ন থেকে উপজেলা, পৌরসভা, জেলা পর্যন্ত এমনই একটি শক্তিশালী সংগঠন দাঁড়াবে যা বিএনপিজামায়াতের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করবে। সামনে নিবার্চন। ইসলামকে ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যেতে চায় বিএনপি। কারণ বিএনপিজামায়াত ক্ষমতায় এলে ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের চেয়েও বেশি তাণ্ডবলীলা চালাবে।

নিখিল বলেন, পরিতাপের বিষয় আজ আমাদের চারপাশে অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে পড়েছে। বিএনপিজামায়াত ঢুকে পড়েছে। আমরা সকলে বক্তব্য দিই, বিএনপিজামায়াত আমাদের পতাকাতলে আসতে পারবে না। আমরা হাততালি দিই। কিন্তু বাস্তবে কোথায়? বাস্তবে আমাদের পাশে বসা বিপথগামী যুবক। মাদক সেবনকারী যুবক, চাঁদাবাজ যুবক। যারা সমাজকে অতিষ্ঠ করে তোলে, যারা শেখ হাসিনার সব অর্জনকে ধূলিসাৎ করে দেয়।

উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান আতা বলেন, ১৯ বছর একটি সংগঠনের সম্মেলনে না হওয়া সংগঠনের জন্য ভালো দিক নয়। আরো আগে সম্মেলন হওয়া উচিত ছিল। সামনে অনেক দুঃসময় আসছে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপিজামায়াত দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে। এটা যুবলীগকে মোকাবেলা করতে হবে।

বিশেষ অতিথি দিদারুল আলম এমপি বলেন, আজকে সারা দেশে শেখ ফজলে শামস পরশের নেতৃত্বে মানবিক যুবলীগ প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে। আগে দেশব্যাপী যুবলীগে অনেক দুর্নাম ছিল। পরশ ভাইকে অনুরোধ জানাব এমন নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন যারা দলের যোগ্য এবং ত্যাগী। আমরা গ্রুপিং চাই না। আমরা চাই তৃণমূলে যুবলীগ শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হোক।

খাদিজাতুল আনোয়ার সনি এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গত ১৩ বছরে দেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এগিয়ে যাচ্ছে। এই সুযোগে অনেকে এখন নৌকায় উঠতে চাইবে। এই ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।

যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম বলেন, উত্তর জেলা যুবলীগে ২০০৩ সালে সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছে। দীর্ঘ ১৯ বছর পর আজকে সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই ১৯ বছর যারা পদপদবি ছাড়া কাজ করেছেন তাদের একটা সুযোগ এসেছে এই সম্মেলনের মাধ্যমে নেতৃত্ব সৃষ্টির। আমাদের চেয়ারম্যান চান মেধাবী দক্ষ যোগ্য লোকদের মূল্যায়ন হোক।

যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, আগামী নির্বাচনে উত্তর চট্টগ্রামের ৭টি আসন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীকে আবারো ক্ষমতায় আনতে হবে।

উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি এসএম আল মামুনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশেদুল আলমের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, কাজী মাজহারুল ইসলাম ও শহীদুল হক রাসেল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জয়দেব নন্দী, উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আদিত্য নন্দী, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ড. বিমান চন্দ্র বড়ুয়া, নিয়াজ মোর্শেদ এলিট প্রমুখ।

উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি এসএম আল মামুন বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন মূলতবি ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয় হাটহাজারী সরকারি কলেজের বিজ্ঞান ভবন মিলনায়তনে। দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলরদের মতামত শোনা হলেও নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ উত্তর জেলার কাউন্সিল অধিবেশন
পরবর্তী নিবন্ধনির্বাচনে যেতে বিএনপি এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে—- ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ