নীল নয়না হরিণী

কাসেম আলী রানা | বৃহস্পতিবার , ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৬:২৮ পূর্বাহ্ণ

আমি কি শ্রাবণ?

তুমি মেঘের সৈন্য সামন্ত নিয়ে সারাটা ক্ষণ,

সারা আকাশ জুড়ে আমার চোখের পাপড়ি ভিজিয়ে ভিজিয়ে,

জলধারার ক্লান্তিহীন ঝরো ঝরো মাতমে,

আমাকে বৃষ্টির মতো ভাসিয়ে নেবে সাগর থেকে মহাসাগরে!

আমার শহর জুড়ে এখন দারুণ বৃষ্টি, বৃষ্টিময় অনাসৃষ্টি।

তোমার শহরে ঝলমলে রোদ্দুর।

তুমি নরম কোমল মিষ্টি রোদের আরতি সারথি।

তোমার জন্য মুঠো ভরে ছয় প্রহরের বৃষ্টি পাঠলাম।

আমার জন্য এক প্রহর রোদ্র দিও।

আমি কতদিন উষ্ণতার কাঙাল হয়ে বিলুপ্ত আরকান গহ্বরে

নিমজ্জিত শামুকের মতো বেঁচে হয়ে আছি।

তুমি যদি মাগন ঠাকুরের কন্যা হতে আমি যদি

আদি চম্পক নগরের চাঁদ সওদাগর হতাম,

সাত সমুদ্রের প্রমোদ তরীতে ভাসাতাম তোমাকে!

ভাসাতাম রমনীয় চন্দ্র জোয়ারের উজানে।

কত জল অবলোকন করেছো তুমি? কতকাল আমাকে

ডুবিয়ে রাখবে ল্যাবটারীর ফরমালিন পূর্ণ কাচের জারে?

আমাকে ছুঁয়ে দাও, আমাকে মুক্তি দাও, আমাকে উষ্ণতা দাও,

আমার এক জীবনে আমি মানুষ হয়ে তোমার নাভীমূলে

ডুবে থাকতে চাই।

তুমি আমার নীল নয়না হরিণী প্রিয় রাশিদা বানু,

তুমিই আমারএক জীবনের নীল নয়না হরিণী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমুহম্মদ এনামুল হক : পণ্ডিত ও বিদগ্ধ গবেষক
পরবর্তী নিবন্ধকিছু সম্পর্ক আছে