প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে স্মার্টফোন আসক্তি দিন দিন বেড়েই চলেছে। অফিস-আদালত, ব্যবসায়-বাণিজ্য, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সবখানেই এখন ব্যাপকভাবে স্মার্টফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। বড়দের পাশাপাশি আজকাল শিশুরাও ভিডিও গেম ও কার্টুন দেখার নামে হাতে তুলে নিচ্ছে অত্যাধুনিক এ যন্ত্রটি। ফলে তাদের মধ্যে তৈরি হচ্ছে স্মার্টফোনের প্রতি তীব্র আসক্তি। যা তাদের স্বাভাবিক প্রাণচাঞ্চল্য কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি খেলার মাঠ ও স্বজনদের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। বলা হয়, স্মার্টফোন আসক্তি মাদকাসক্তির মতোই বিপদজনক। অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারের ফলে স্নায়ু দুর্বল হয়ে পড়ে, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, রক্তের চাপ বেড়ে যায়, দেহ ধীরে ধীরে ক্লান্ত এবং নিস্তেজ হয়ে পড়ে; এমনকি নিয়মিত ঘুমেও ব্যাঘাত ঘটায়। স্মার্টফোনের এই মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার মানুষকে জীবন সম্পর্কে ভাবতে শেখায় না বরং জীবন সম্পর্কিত চিন্তা ভাবনা থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। তাই দৈহিক ও মানসিক সুস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে স্মার্টফোনের পরিমিত ব্যবহার অপরিহার্য।
মেহেদী হাসান অর্ণব
শিক্ষার্থী, সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা