নিয়ম মেনে খুলল মার্কেট ও শপিংমল

স্বাস্থ্যবিধি মানতে আজ থেকে কঠোর পন্থা

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ১০ এপ্রিল, ২০২১ at ৬:০২ পূর্বাহ্ণ

স্বাস্থ্যবিধি মেনে গতকাল থেকে বিভিন্ন মার্কেট ও শপিং মল খুলেছে। ক্রেতাদের উপস্থিতিও ছিল ব্যবসায়ীদের জন্য সন্তোষজনক। ব্যবসায়ীদের অনেকেই সরকারি নিয়ম মেনে সকাল থেকে দোকান খুলেছেন। বন্ধও করেছেন নিয়ম মেনে। আবার অনেক স্থানে ক্রেতাদের ভিড় সামলানো দায় হয়ে পড়েছিল। আবারও বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে এসেছিলেন তারা। কেউবা এসেছেন রমজানের আগে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে। অনেক মার্কেট, শপিং মলে স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা গেছে। আবার অনেক মার্কেটে তা ছিল উপেক্ষিত। ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এবং প্রশাসন উভয় পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, শুক্রবার ছুটির দিন ছিল বলেই যথেষ্ট কঠোরতা অবলম্বন করা হয় নি কোনো কোনো স্থানে। তবে মাঠে প্রশাসনের উপস্থিতি ছিল। আজ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে আরো কঠোর পন্থা অবলম্বন করার কথা জানালেন তাঁরা।
সিএমপির উপ পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) বিজয় বসাক আজাদীকে বলেন, আজ (৯ এপ্রিল) শুক্রবার ছুটির দিন ছিল। দোকানপাটও খুলেছে কম। তাই আমরা ততোটা কঠোর হইনি। কিন্তু আগামীকাল (আজ শনিবার) থেকে আমরা স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণে অভিযান চালাবো। যদি মানা না হয় বা সরকারি নিয়ম পালনে কোনো প্রকার গাফিলতি লক্ষ্য করি, তবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। সেটা ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।
টেরীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান আজাদীকে বলেন, আমরা সমিতির পক্ষ থেকে মাইকে বারে বারে স্বাস্থ্যবিধিসহ প্রয়োজনীয় সকল নিয়মাবলী মানতে ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানাচ্ছি। টেরীবাজারে প্রতিটি মার্কেটের সামনে একজন নিরাপত্তা রক্ষী থাকবেন। তার কাছে স্যানিটাইজার থাকবে। পাশাপাশি মাস্কবিহীন কোন ক্রেতাকে মার্কেটে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। টেরীবাজারে ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযানেও আমরা সমিতির পক্ষ থেকে সহায়তা করেছি।
লকডাউনের মধ্যেই চট্টগ্রামসহ সারাদেশে গতকাল খুলেছে দোকানপাট-বিপনী বিতান। এর আগে দোকান খুলে দেওয়ার দাবিতে টানা তিনদিন নানা কর্মসূচি পালন করেন ব্যবসায়ীরা। পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ থেকে আট ঘণ্টা দোকান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত দেয় সরকার। তবে গতকাল নগরীর বিভিন্ন মার্কেট ও দোকানে দেখা গেছে, বেশিরভাগ স্থানেই উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। এমনকি সামাজিক দূরত্বও রক্ষা করছেন না ক্রেতা বিক্রেতা কেউই। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার কথা থাকলেও প্রশাসনের ছিল না তেমন তৎপরতা। লকডাউনের পঞ্চমদিনে চট্টগ্রামের সব মার্কেট শপিংমল খুলেছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসা করার সুযোগ পেয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেন বিক্রেতারা। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ব্যবসা পরিচালনা করার কথা বলেন তারা। ক্রেতারা বলছেন, বড়ো বড়ো শপিং মলগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি কিছুটা মানা হলেও জহুর হকার্স মার্কেটসহ বেশ কয়েকটি মার্কেটে স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই ছিল না।
টেরীবাজারে পাথরঘাটা থেকে এসেছিলেন গৃহিণী ফারজানা আলম। তিনি বলেন, আবার যদি সব বন্ধ হয়ে যায় এজন্য মার্কেটে এসেছি। কিছু কেনাকাটা করতে। ছেলেমেয়ের জন্যে কিছু কাপড় কিনেছি।
আগামী বুধবার বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। সে জন্য পহেলা বৈশাখের আগের দিন, অর্থাৎ ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বিপণী বিতান ও দোকানপাট খোলা রাখার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবঙ্গোপসাগরের নীল তিমি সম্পর্কে যা জানা যায়
পরবর্তী নিবন্ধ৩৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা