নিহত শ্রমিকদের ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে

বাঁশখালী এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে ডা. জাফরুল্লাহ

বাঁশখালী প্রতিনিধি | রবিবার , ২৫ এপ্রিল, ২০২১ at ৮:১৭ অপরাহ্ণ

বাঁশখালীর গণ্ডামারায় নির্মিতব্য এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষে নিহত ও আহত শ্রমিকদের খাদ্য সহায়তা প্রদানের জন্য আজ রবিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
এ সময় বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দায়িত্বরত এসআলম গ্রুপের চীফ কো-অর্ডিনেটর ফারুক আহমদ ও বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সফিউল কবীরের সাথে কথা বলেন তিনি।
তিনি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিতরে প্রবেশ না করে গেইটে এসআলম গ্রুপের চীফ কো-অর্ডিনেটর ফারুক আহমদের সাথে কখা বলে আগে থেকে কেন শ্রমিকদের দাবি মেনে নেওয়া হয়নি তা জানকে চান।
পরে সংঘর্ষে নিহত শ্রমিক ওই ইউনিয়নের পূর্ব বড়ঘোনা গ্রামের মাহমুদ রেজা মিয়াহানের বাড়িতে যান এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন।
এ সময় আহত শ্রমিক খোরশেদ আলম জানান, তার চোখের সামনে ১০ জনের মতো শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে অথচ প্রচার করা হয়েছে ৫ জনের কথা। পরে আরো দু’জন মারা যায়।
খোরশেদ এ সময় আরো বলেন, “অনেককে বালি চাপা দেওয়া হয়েছে।”
পরে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “নিহত প্রত্যেক শ্রমিককে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। নিহত শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের চাকরি দিতে হবে এবং বিচারপতি নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।”
এ সময় তিনি আরো বলেন, “শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া থাকতে পারে। এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করতে পারত। এভাবে শ্রমিকদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানো একটি স্বাধীন ও সভ্য দেশে কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। শ্রমিকরা পেটের দায়েইতো কাজ করতে এসেছে। সেটা কর্তৃপক্ষের বুঝা উচিৎ ছিল।”
এ সময় তিনি সংঘর্ষে নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানান এবং তাদের পরিবারের কাছে ১ মাস চলার মতো খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন।
খাদ্য সহায়তার মধ্যে ছিল প্রতি পরিবারে ২০ কেজি চাল, ৪ কেজি আটা, ৫ কেজি আলু, ১ কেজি মশুর ডাল, ১ কেজি ছোলা, ১ কেজি পিঁয়াজ, ১ কেজি চিনি, আধা কেজি লবণ, আধা লিটার সয়াবিন তেল, ৮০ গ্রাম সরিষার তেল এবং ৩০ গ্রাম শুকনা মরিচ।
বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন ও খাদ্য সহায়তা প্রদানকালে তার সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, মুক্তিযোদ্ধা ইসতিয়াক আজিজ উলফত, রাষ্ট্রচিন্তার এডভোকেট হাসনাত কাইউম, গণস্বাস্থ্যের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান শাহেদুল ইসলাম, মো. নাছির,মোজ্জাফর আহমদ, মো. হাসান মারুফ, ছৈয়দুল আলম, মো. হাশেম,ফরিদ আহমদ, সেলিম নুর, মো. নাছির, হাজী নবী হোসেন, দিদারুল ইসলাম, মো. জাবেদ, মোক্তার আহমদ প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাঙামাটির লংগদুতে নিখোঁজ গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধগাড়ি উল্টে ইটভাঙার মেশিনের নিচে পড়ে শ্রমিক নিহত