নিলামে সব গাড়ি বিক্রির আশা কাস্টমস কমিশনারের

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২৬ মে, ২০২২ at ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দরে কার্নেট ডি প্যাসেজ বা পর্যটন সুবিধায় আসা ১০৮টি বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে তোলা হচ্ছে আগামী মাসেই। গাড়িগুলো কেনার জন্য বিডাররা (নিলামে অংশগ্রহণকারী) আগামী ১২ ও ১৩ জুন ই-অকশনে (অনলাইন নিলাম) ও ম্যানুয়াল নিলামে দরপত্র জমা দিতে পারবেন। তবে পে অর্ডারের হার্ডকপি জমা নেওয়া হবে ১৬ জুন। এর আগে ৫ থেকে ৯ জুন পর্যন্ত বিডাররা এসব গাড়ি পরিদর্শন করতে পারবেন। নিলামের ক্যাটালগ প্রকাশ করা হবে ২৯ মে।

আগামী ১৯ জুন মোংলা, সিলেট, ঢাকা, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও কাস্টম হাউজে রাখা দরপত্র বাঙ খোলা হবে। গতকাল চট্টগ্রাম কাস্টমসের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কাস্টমস কমিশনার মো. ফখরুল আলম।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, এসব গাড়ি মূলত এনেছেন বিদেশী নাগরিক যারা আবার বাংলাদেশেরও নাগরিক। অর্থাৎ দ্বৈত নাগরিক। এসব প্রবাসীরা বাংলাদেশি পর্যটকেরা বিশেষ সুবিধায় গাড়িগুলো এনেছিলেন। বন্দরে আসার পর এসব গাড়ি তারা খালাস নেননি। তাই বিধি ও আইন অনুযায়ী নিলামের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এরই মধ্যে নানা জটিলতা কাটিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গাড়িগুলো নিলামের ছাড়পত্র দিয়েছে।

এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কাস্টমস কমিশনার বলেন, আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিপি নেয়াটা বিডারদের পক্ষে সমস্যা হয়ে যেত। ৮৩টি গাড়ির সিপি (ক্লিয়ারেন্স পারমিট) পেয়েছি। তাই ক্রয়, খালাস ও রেজিস্ট্রেশনে বিডারদের সমস্যা হবে না। কিছু গাড়ির সিপি আগে পেয়েছি। কিছু গাড়ির সিপি লাগবে না। আমরা আশা করি নিলামে সবগুলো বিক্রি করতে পারবো।

কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, নিলামে তোলা গাড়িগুলোর মধ্যে জাপান, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের তৈরি বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জ, ল্যান্ড ক্রুজার, ল্যান্ড রোভার, জাগুয়ার, মিতসুবিশি, টয়োটা ও লেঙাস জিপ রয়েছে। কার্নেট সুবিধার অপব্যবহার করে আনা গাড়িগুলো প্রায় ১০-১৫ বছর ধরে চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে রয়েছে। এর আগে গত ২০১৬ সালের আগস্টে ৮৫টি, ২০১৭ সালের মে মাসে ১১৩টি, ২০১৮ সালের মে মাসে ১১১টি গাড়ি এবং গত ২০১৯ সালের ১৬ এপ্রিল চতুর্থবারের মতো ২২টি গাড়ি তোলা হয়। কিন্তু প্রতিবারই দামে অসামঞ্জস্য থাকায় দরদাতাদের কাছে গাড়ি বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। তবে গত বছরের ৩ ও ৪ নভেম্বর ই-অকশন এবং ম্যানুয়াল নিলামে ১১২টি গাড়ি নিলামে তোলা হয়। এর মধ্যে ১১০টি গাড়িতে দরপত্র জমা দেয় বিডাররা। জমা দেয়া দরপত্র ও অন্যান্য শর্ত যাচাই করে মাত্র ৩টি গাড়ি বিক্রির অনুমোদন দেয়া হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুই হাজার মিটার জাল, ১০টি বড়শি ও ডিঙি নৌকা জব্দ
পরবর্তী নিবন্ধশাকপুরা চৌমুহনী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নির্বাচন ২৮ মে