নির্মম সত্যের মুখোমুখি

মুসলেহ্‌উদ্দিন মুহম্মদ বদরুল | রবিবার , ২০ নভেম্বর, ২০২২ at ১০:০৪ পূর্বাহ্ণ

সন্তানের জন্মদান, লালন- পালন, শিক্ষা এবং উপযুক্ত সময়ে মেয়েকে বিয়ে দেয়া ও ছেলের জন্য বউ আনা ইত্যাদি সকল বিষয়ে মা- বাবার রয়েছে একটি অপরিহার্য ভূমিকা। আজ যে মেয়েটি মা হল সেও একদিন শিশু ছিল। মা তাকে যেভাবে লালন- পালন করে বড় করেছে সেদিনের শিশু কন্যাটিও আজ সেভাবে তার শিশু সন্তানকে পরিচর্যায় রত। আজ যে ছেলেটি বাবা হল সেও একদিন শিশু ছিল। আজ ওর বাবার মতই নিজ সন্তানের ভাল মন্দ দেখভাল করছে।

আমার কথাই বলি, যখন ছোট ছিলাম, লেখাপড়ায় অমনোযোগী ছিলাম, দুষ্টুমি করতাম, বাবা বকা দিতেন। শাসন করতেন। নামাজ আদায় ও পড়ালেখার জন্য চাপ দিতেন। আজ আমিও বাবা হয়ে ঠিক আমার বাবার মতই একই আচরণ করি। আমার ছেলেও একদিন বাবা হয়ে আমার মতই সন্তানের প্রতি দায়িত্ব পালন করবে। আমার মতই উপদেশ নসিহত করবে, “বাজে ছেলেদের সাথে আড্ডা দিও না। সন্ধ্যার পরে ঘর থেকে বের হইও না। ছোটদের স্নেহ ও বড়দের সম্মান করিও। কটূ কথা বলে কারও মনে আঘাত দিও না।”

হ্যাঁ, বাবা যেমন আমাকে নসিহত করেছিলেন, আমিও আমার ছেলেকে একই নসিহত করছি। ছেলেও তার ছেলেকে সেই নসিহত শোনাবে। এটাই হচ্ছে, একজন মানুষের জীবনের অবশ্যাম্ভাবী পরিণতি। মা- বাবা যতদিন বেঁচে থাকেন, সন্তানরাও একান্নবর্তী পরিবারেই বসবাস করেন। মা- বাবার মৃত্যুর পরে সেই পরিবার কিছু দিনের জন্য যৌথ থাকলেও পরবর্তীতে পৃথক হয়ে যায়। অবশ্য পৃথক হওয়ার ইচ্ছা না থাকলেও বাস্তবতাকে না মেনে কোন উপায় থাকে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজারণ
পরবর্তী নিবন্ধবিশ্বকাপ