নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রিফান্ড ফেরতের পদক্ষেপ নিতে হবে

আমীর আলীহোসাইন

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৬ মে, ২০২১ at ৪:৫৮ পূর্বাহ্ণ

কাঁচামাল আমদানির অগ্রিম ভ্যাটের রিফান্ড একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফেরত প্রদানের পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন দেশে ইস্পাত শিল্পে সুপ্রতিষ্ঠিত বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর আলীহোসাইন। ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট ভাবনা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের বর্তমান যে করনীতি রয়েছে, তা শিল্পের জন্য সহায়ক নয়। আমদানি পর্যায়ে এখন যে ভ্যাট অগ্রিম নেওয়া হচ্ছে, তা পুরো বছরের ব্যবসায়ের পরিশোধযোগ্য ভ্যাটের চেয়েও অনেক বেশি।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী ইস্পাত শিল্পে বিনিয়োগ উচ্চ হলেও মুনাফা স্বল্প। নতুন ভ্যাট আইনে প্রতি টনে দুই হাজার টাকা ভ্যাট নেওয়া হচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরে নেওয়া বেশি অগ্রিম করের টাকা সমন্বয় করে এখনো ফেরত দেওয়া হচ্ছে না। এখনো আমাদের বিএসআরএম’র ১৪০ কোটি টাকার মতো কাস্টমসের কাছে রিফান্ড আটকে আছে। শুরু থেকে এই পর্যন্ত আমাদের মাত্র ৭ কোটি টাকা রিফান্ড দিয়েছে। কাস্টমসের কাছে আমাদের মতো অনেক প্রতিষ্ঠানের টাকা আটকে আছে। এ টাকাগুলোও ব্যাংকের টাকা। এগুলোর বিপরীতে ব্যাংক ইন্টারেস্ট দিতে হচ্ছে। এই টাকার আর্থিক ব্যয় পণ্যের উৎপাদন ব্যয়কে প্রভাবিত করছে। এতে উৎপাদিত পণ্যের দাম বাড়ছে। তাই নির্ধারিত সময় শেষে একটি নির্দিষ্ট টাইম ফ্রেমের মধ্যে রিফান্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত আগামী বাজেটে থাকা জরুরি।
ইস্পাত খাতের এ শীর্ষ ব্যবসায়ী আগামী বাজেটে ৪ শতাংশ অগ্রিম কর কমিয়ে ১ শতাংশে আনার দাবি জানান। তাছাড়া মিনিমাম ট্যাক্সের কারণে সব কোম্পানিই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। লাভ হোক কিংবা লস হোক মিনিমাম ট্যাক্স দিতেই হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘২০১৯ সাল থেকে ২০১২ সালের ভ্যাট আইন কার্যকর হয়েছে। এক কোম্পানির জন্য এক বিন নম্বরের মাধ্যমে সারাদেশে কেন্দ্রীয়ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করার সুযোগ করে দিতে হবে। বর্তমানে শুধুমাত্র ১৫শতাংশ ভ্যাট প্রদানকারীরাই এই সুযোগ পাচ্ছেন। সবাই এ সুযোগ পাচ্ছেন না। কারখানা ও গুদামের আলাদা বিন হলে দ্বৈত ভ্যাটের সমস্যা হয়। লেনদেনের ক্ষেত্রে জটিলতার তৈরি করে।’
তিনি বলেন, এখনকার ভ্যাট পলিসি ব্যবসায়ী সহায়ক নয়। এতে পুরোনোরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। প্রত্যেক বাজেটে আগে থেকে যারা ভ্যাট প্রদান করে আসছেন, নতুন করে তাদের ওপরই চাপ তৈরি করা হয়। এতে পরোক্ষভাবে ভোক্তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। পরিমাণ কমিয়ে ভ্যাটের আওতা বাড়ানো গেলে সরকার আরো বেশি রাজস্ব আদায় করতে পারতো। কারণ ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বাড়লে ভ্যাট আদায়ের পরিমাণও বাড়বে। এতে পুরোনো করদাতারা কিছুটা হলেও রেহাই পেতো।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅক্সিজেন প্লান্টের জন্য সরকারি সহায়তা চাই
পরবর্তী নিবন্ধঅগ্রিম কর কমালে বাড়বে নতুন বিনিয়োগ