নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাড়ইপাড়া খাল খনন কাজ শেষ করতে হবে : মেয়র

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ at ৬:০১ পূর্বাহ্ণ

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাড়ইপাড়া খাল খনন প্রকল্পের কাজ শেষ করার তাগিদ দিয়েছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। গতকাল খাল খনন কাজ পরিদর্শনে গিয়ে প্রকৌশলীসহ ঠিকাদারদের এ তাগাদা দেন মেয়র। চসিক সূত্রে জানা গেছে, ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ খালটি হবে ৬৫ ফুট চওড়া। খালের দুই পাশে ২০ ফুট করে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি রাস্তা হবে এবং ছয় ফুট প্রস্থের দুটি করে ওয়াকওয়ে হবে। খালটি বারইপাড়া থেকে শুরু হয়ে নূরনগর হাউজিং হয়ে, ওয়াইজপাড়া থেকে বলিরহাটের পাশ দিয়ে কর্ণফুলী নদীতে মিশবে।

জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ১৯৯৫ সালে করা ড্রেনেজ মাস্টারপ্ল্যানে নগরের বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খালটি খননের সুপারিশ করা হয়। এর প্রায় দুই দশক পর ২০১৪ সালের জুন মাসে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় বারইপাড়া খাল খনন প্রকল্প অনুমোদন পায়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শেষ হলে ওই এলাকার ২ হাজার ২৬৪ হেক্টর এলাকার পানি নিষ্কাশিত হয়ে কর্ণফুলী নদীতে প্রবাহিত হবে।

এদিকে গতকাল সকালে পরিদর্শনে গিয়ে মেয়র বলেন, ৮ ওয়ার্ডের প্রায় ১০ লাখ বাসিন্দাকে জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তি দিবে বাড়ইপাড়া খাল। মেয়র খালের বহদ্দারহাট অংশসহ খালের বিভিন্ন অংশের খনন কাজ সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করেন এবং সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের কাছ থেকে কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত হন। তিনি আসন্ন বর্ষা মৌসুমে যাতে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে দিক নির্দেশনাসহ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ সম্পাদন করতে বলেন।

মেয়র বলেন, বারইপাড়া খালের সাথে শুলকবহর, মোহরা, বহদ্দারহাট, বাকলিয়া ও চাক্তাইসহ ৮ ওয়ার্ডের প্রায় ১০ লাখ বাসিন্দার জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তির বিষয়টি জড়িত। এজন্য দ্রুততম সময়ে এ খাল খননের কাজ শেষ করতে হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. হারুন অর রশীদ, হাজী মো. ইয়াকুব, মো. সেকান্দর, মো. বেলাল উদ্দিন, হাজী তৈয়ব, মো. ইসমাঈল হোসেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে ৩ উপজেলায় ২৬ প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বৈধ
পরবর্তী নিবন্ধনির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে স্থানীয় সরকার বিভাগের ১০ নির্দেশনা