অতীতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সরকারি সাতটি কলেজ ঢাবি অধিভুক্ত হওয়ার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি, দুর্দশার মাত্রা তীব্র হতে দেখা যায়।ফলে কিছু উদ্যমী শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে প্রতিনিধি দল গঠন করে আন্দোলনের ডাক দেয়া হয় বেশ কয়েকবার।পরবর্তীতে আরো বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী নিজেদেরকে সাত কলেজের বিভিন্ন কলেজ প্রতিনিধি পরিচয়ে ভিন্ন প্রতিনিধি দল গঠন করেন।একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলো সমপ্রীতি গত ৩০ অক্টোবর,বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী নিজেদের সাত কলেজ প্রতিনিধি হিসেবে ঘোষণা করেন ফেসবুক গ্রুপে। সাত কলেজ নামে ফেসবুক গ্রুপ ওপেন করে মোটামুটি সাড়া পেলেই কতিপয় কিছু ব্যক্তি নিজেদের সাত কলেজের প্রতিনিধি ভাবা শুরু করেন।এভাবে যে যার ইচ্ছামতো প্রতিনিধি দল গঠন করার ফলে সাত কলেজের দুর্নাম ছাড়া সুনামের পথ সুগম করবে না। প্রতিটি কলেজ কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জন্যই এমনটি হচ্ছে, কারণ কলেজ কর্তৃপক্ষের উচিৎ ছাত্রদের সমন্বয়ে ৫-১০ সদস্যদের প্রতিনিধি দল গঠন করা। প্রতিনিধি সংগ্রহের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট মুহূর্তে নোটিশ দেয়া সাপেক্ষে আগ্রহীদের ভাইবা নিয়ে চূড়ান্ত প্রতিনিধি দল গঠন করা উচিৎ।এভাবে প্রতিটি কলেজের প্রতিনিধি দল গঠনের পর প্রত্যেক কলেজ থেকে কয়েকজন নিয়ে সাত কলেজ সেন্ট্রাল প্রতিনিধি দল গঠন করা উচিৎ।এতে সরকারি সাত কলেজের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামের জন্য নির্দিষ্ট একটি প্রতিনিধি দলকে নেতৃত্বে পাবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।সাত কলেজের যেকোনো বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে কলেজ কর্তৃপক্ষ অথবা ঢাবি প্রশাসন যোগাযোগের ক্ষেত্রে উক্ত প্রতিনিধি দল প্রধান ভূমিকা পালন করবে। সর্বোপরি ঐতিহ্যবাহী সরকারি সাত কলেজের ঐতিহ্য রক্ষার্থে প্রতিটি কলেজ কর্তৃপক্ষকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
মাহমুদুল হাসান ইজাজ, শিক্ষার্থী,সমাজবিজ্ঞান বিভাগ,ঢাকা কলেজ।