নিজের যা আছে তাতেই সন্তুষ্ট থাকা উচিৎ

হামিমা জামিল রুমা | শুক্রবার , ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৮:১১ পূর্বাহ্ণ

জীবনের উপর কখনো অসন্তুষ্টি আসবেনা যদি খোলা আকাশের নীচে, ফুটপাতে শুয়ে আছে তাদের কথা দিনে অন্তত একবার মনে করা যায় আর যদি স্বচক্ষে তাদেরকে একবার দেখে আসা যায়।
নিজের শরীরের দিকে তাকালে, আমি সুস্থ আছি এটাই বড় নেয়ামত আমার জন্য, এটুকু প্রাপ্তিই যথেষ্ট, এটা মানুষ তখন অনুভব করতে পারে, যখন হাসপাতালে ইমার্জেন্সি বিভাগে মানুষ একটু বাচাঁর জন্য ছটফট করতে থাকার যন্ত্রণা নিজ চোখে দেখে। দিনে অন্তত একবার যদি নিজেকে মনে করিয়ে দেয়া যায়, যেকোনো মুহূর্তে আমার মৃত্যু হতে পারে, আমি কিভাবে নিজেকে সবকিছু থেকে সংযত রাখতে পারি? আল্লাহর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ছোটবড় প্রতিটা কাজের হিসাবতো দিতেই হবে! তখন হিংসা অহংকার সব ধুলোয় মিশে যাবে নিমিষেই। কারণ মৃত্যু খুব নির্মম সত্য জীবনের জন্য। পরচর্চা করে সময় নষ্ট করা আর না পাওয়া নিয়ে আফসোস করার জন্যে জীবন নয় এটা মাথায় সেট করে, জীবনকে উপভোগ্য করে তোলার দায়িত্ব যার যার নিজের। জীবন খুব ছোটো, তাই প্রতিটা মুহূর্তে ছোট ছোট আনন্দগুলো নিজের মতো করে উপভোগ করার দায়িত্বটুকুতো নেয়ায় যায়! বাসার মুরুব্বিদের সাথে সময় কাটানো, ছোটদের সাথে সময় কাটানো, নিজের কিছু ভালো লাগার কাজ করা, পরিবারকে সময় দেয়া, বাইরে গেলে পথশিশু ও গরিবদের জন্য সামর্থ্য অনুযায়ী কিছু করার চেষ্টা করা, গাছ লাগানো, যখন যেখানে যেভাবেই থাকিনা কেনো এই কাজগুলোতো খুশিখুশি করাই যায়, শুধু ইচ্ছে শক্তির প্রয়োজন, আর কিচ্ছুনা। ভালো ভাবনা ভালো রাখতে ভালো অবদান রাখে! নিজেকে সৃজনশীল হতে হলে ভাবনার জগৎ দেখার জগৎ হতে হয় ইতিবাচকতায় পরিপূর্ণ! আর এই অসাধারণ গুণটি প্রতিটি মানুষের মধ্যেই রয়েছে, একটু বোঝে নিয়ে নিজের জীবনে এপ্লাই করতে হয় যেনো সবার জন্য কাজটি ভালোর উদাহরণ হয় আর অনুপ্রেরণার কারণ হয়। জীবন সুন্দর, তাই জ্বলে উঠুন আপন শক্তিতে। লেখক: আবৃত্তিকার

পূর্ববর্তী নিবন্ধফ্লাইওভারে স্পিডব্রেকার প্রদান করা জরুরি
পরবর্তী নিবন্ধমানুষে মানুষে বৈষম্য দূর হোক