নারী ফুটবল দলকে ৫০ লাখ টাকা করে দেবে বিসিবি, তমা গ্রুপ এবং এনভয় গ্রুপ

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার , ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৬:১১ পূর্বাহ্ণ

ছাদ খোলা বাসে স্বপ্ন যাত্রা কিংবা বড় পুরষ্কারের লোভে ফুটবল খেলতে আসেনি সাবিনা, কৃঞ।চা, মারিয়া, রিতু মনিদের কেউই। এরা হয়তো এসেছিল জিবীকার তাগিদে নাহয় একেবারে ফুটবলের টানে, ফুটবলের প্রতি ভালবাসা থেকে। সেখানেও তাদের নানা রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করতে হয়েছে। পরিবারের বাধা ডিঙাতে হয়েছে। আশে পাশের লোকজনের কটু কথা শুনতে হয়েছে। তবে সব বাধা ডিঙ্গিয়ে আজ সাবিনারা দেশের শ্রেষ্ট সন্তান। দেশের সম্মানকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। আজ দক্ষিণ এশিয়ার সব ফুটবল খেলুড়ে দেশকে হারিয়ে নিজেদের শ্রেষ্টত্ব প্রমান করেছে বাংলাদেশের নারীরা। এক সময় দারিদ্রতার সাথে যাদের লড়াই করতে হয়েছে নিয়মিত, ফুটবল কিনতে না পারায় যারা ফুটবল খেলেছে খড়ের বলে কিংবা জাম্বুরা দিয়ে আজ তারা দেশের শ্রেষ্ট সন্তান। জীর্ন শীর্ণ ঘরে রোদ, বৃষ্টি উপেক্ষা করে যাদের কেটেছে প্রতিটা দিন আজ তারা রাজধানীতে ঘুরছে ছাদ খোলা বাসে চড়ে। বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের এমন সাফল্যে অনেকেই আসছের দুহাত ভরে অর্থ নিয়ে। সবার আগে অর্থ পুরষ্কার ঘোষনা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তারা দেবে ৫০ লক্ষ টাকা। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন নারী ফুটবল দলের সদস্যদের জন্য এই পুরষ্কার ঘোষনা করেন।
এরপর ফুটবলারদের ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এনভয় গ্রুপের চেয়ারম্যান শারমিন সালাম। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি সালাম মুর্শেদী এ কথা জানান। এটি তারই প্রতিষ্টান। এরপর আরও ৫০ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেয় দেশের অন্যতম নির্মাণ সংস্থা তমা গ্রুপ। এই প্রতিষ্টানের কর্নধার মানিক বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ সভাপতি। এছাড়া খাগড়াছড়ির তিন ফুটবলারকে সেখানকার জেলা প্রশাসক দিয়েছেন এক লক্ষ টাকা করে। রাঙ্গামাটির দুই ফুটবলারকে সেখানকার জেলা প্রশাসক দিয়েছেন দেড় লক্ষ টাকা করে। আরো অনেক পুরষ্কার এবং উপহার অপেক্ষা করছে বাংলার এই নারী ফুটবলারদের জন্য।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবন্দরকে হারালো কোয়ালিটি
পরবর্তী নিবন্ধসাড়ে চার ঘন্টার স্বপ্ন যাত্রা শেষে ফুটবল ভবনে সাবিনারা