জিতলেই চ্যাম্পিয়ন, হেরে গেলে সুযোগ থাকবে আরেকটি। সমীকরণ ছিল এমন। তবে একের পর প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে অপরাজেয় যাত্রায় ছুটেছে যে দল, তারা কেন শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইবে। খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতিকে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ট্রফি নিশ্চিত করে ফেলল শেলটেক ক্রিকেট একাডেমি। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন উইমেন’স ক্রিকেট লিগে টানা সাত ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন নিগার সুলতানার দল। সাত ম্যাচে পূর্ণ ১৪ পয়েন্ট শেলটেকের। লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ঝুলিতে সাত ম্যাচে ১২ পয়েন্ট। তারা শেষ ম্যাচ জিতলে ও শেলটেক হেরে গেলে দুই দলেরই হবে সমান ১৪ পয়েন্ট। টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী, দুই দলের সমান পয়েন্টের ক্ষেত্রে বিবেচনায় আসবে মুখোমুখি লড়াইয়ের ফল। লিগের উদ্বোধনী ম্যাচেই মোহামেডানকে ৫৩ রানে হারিয়েছিল শেলটেক। তাই শেষ ম্যাচ হারলেও ট্রফি উঁচিয়ে ধরবে প্রথম বিভাগ থেকে এবার প্রিমিয়ারে উঠে আসা দলটি। লিগে রোববারের আরেক ম্যাচে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে (বিকেএসপি) ৭৪ রানে হারায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ইউ ল্যাব ক্রিকেট মাঠে খেলাঘরকে ৪ উইকেটে হারায় শেলটেক। ১১৯ রানের লক্ষ্য ছুঁতে ৬ উইকেট হারালেও ১৪৫ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তারা। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে একদমই সুবিধা করতে পারেনি খেলাঘর। কোনো ব্যাটারই ২৩ রানের বেশি করতে পারেনি। অতিরিক্ত থেকে পাওয়া ২৭ রানের সৌজন্যে একশ পার করে তারা। শেলটেকের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন ফাহিমা খাতুন ও জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনা। ছোট লক্ষ্যে ইতিবাচক শুরু করে শেলটেক। ইশমা তানজিম ২৮ ও শারমিন সুলতানা ৪১ রান করলে ১ উইকেটে ৮০ রান করে ফেলে তারা। এরপর ধস নেমে ১৩ রানের মধ্যে আউট হন পাঁচ ব্যাটার। পরে ফাহিমা ও সুমনার ২৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে নিশ্চিত হয় তাদের জয়। ফাহিমা ১১ ও সুমনা করেন ১২ রান। বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্স মাঠে মোহামেডানের বিপক্ষে লড়াই করতেই পারেনি বিকেএসপি। ২২০ রানের লক্ষ্যে ১৪৫ রানে গুটিয়ে যায় তারা। মোহামেডানকে দুইশ ছাড়ানো স্কোর এনে দেওয়ার বড় কারিগর শারমিন আক্তার। তিন নম্বরে নেমে ১০৮ বলে ৭৪ রান করেন তিনি। শেষ দিকে সালমা খাতুন ২৭ বলে ৩৪ ও আয়েশা রহমান ৫৯ বলে খেলেন ৩৫ রানের ইনিংস। রান তাড়ায় ৭২ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বিকেএসপি। অষ্টম উইকেটে ৬৭ রানের জুটি গড়েন নিশিতা আক্তার ও ফারজানা ইয়াসমিন। আট নম্বরে নেমে দলের সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন ফারজানা। নিশিতার ব্যাট থেকে আসে ২৭ রান। বল ফারিহা ইসলাম নেন ৩ উইকেট। এছাড়া সালমা, আয়েশা ও রুমানা আহমেদের শিকার ২টি করে উইকেট।