নারীর প্রতি সকল বৈষম্য ও সহিংসতা বিলোপ হোক

ফারহানা ইসলাম রুহী | বুধবার , ৯ মার্চ, ২০২২ at ৭:২৫ পূর্বাহ্ণ

আদিকাল থেকে আধুনিক সভ্যতার অগ্রগতিকে এগিয়ে নিতে পুরুষের পাশাপাশি নারীর ভূমিকাও কম নয়। যুদ্ধ বিগ্রহ সহ করোনা মহামারীতে নারীর ভূমিকা তুলনাহীন। নারী চিকিৎসক, সেবিকা, গবেষক, বিজ্ঞানী বিশ্বকল্যাণে একযোগে কাজ করেছে। নারীকে অবমূল্যায়ন খাটো করে দেখার কোনো অবকাশ নেই। নারীর অধিকার ও উন্নয়ন মানে মানবজাতির উন্নয়ন। ঠিক বাড়ির চারটি দেয়ালের মত নারী পুরুষ মিলে চারটি হাত। পেশাগত, পরিবার ও ব্যক্তিজীবনে নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হন। যা নারীর মেধা মনন বিকাশে চরম বাঁধা। নারীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ তৈরিতে পরিবারের ভূমিকা অপরিসীম। পরিবারের প্রধান নারী পুরুষ যিনি হোন না কেন নিজ পরিবারের নারীর কাজের প্রশংসা সম্মান ও স্বীকৃতি দিতে হবে, গৃহের আপনজনদের দিতে শেখাতে হবে। কারণ নারীর বঞ্চনা শুরু হয় প্রথমে পরিবারে। অর্থনৈতিক রাজনৈতিক ও সামাজিক সাফল্য নীতি নির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহসের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম। পুরুষ শাসিত সমাজে সুযোগ ও সহযোগিতার অভাবে মেধার বিকাশ ও মূল্যায়ন হয় না। নারী শুধু সন্তান লালন নয়, জুম চাষ, গৃহস্থালির কাজে ফাঁকে কৃষিজ পণ্য উৎপাদনকে এগিয়ে নিয়ে গেছে নারীরা। প্রজ্ঞাবান ও চৌকস জাতি গঠনে নারীর উচ্চ শিক্ষা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি সর্বক্ষেত্রে তার অধিকার প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে হবে।
শুধু ২২ দেশের মধ্যে আছেন মহিলা রাষ্ট্র প্রধান ১১৯ দেশে নারীরা সুযোগ পাননি। দক্ষিণ এশিয়ায় বিশ্ব নারী দিবস উদযাপনের মাধ্যমে তৃতীয় বিশ্বে নারীর আর্থিক মুক্তি এবং নারীর সচেতনতা বৃদ্ধির দিকটি ও নারী শিক্ষার হার বৃদ্ধির বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। নারী শ্রমিকদের দ্বারা এই আন্দোলন সূচিত হয়েছে তাদের ভাগ্য উন্নয়ন আজও সেভাবে পরিবর্তন হয়নি। ১৯১৪ সাল থেকে বেশ কয়েকটি দেশে ৮ মার্চ পালিত হয়। জাতিসংঘ ১৯৭৫ সালে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। আমাদের দেশে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার লাভের পূর্ব থেকেই এই দিবসটি পালিত হতে শুরু করে। নারী তার অধিকার প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার এটি বোঝাতে নারী দিবস উদযাপন। গতিশীল পৃথিবী জুড়ে ঘটেছে আমূল পরিবর্তন। সেই সাথে চাই বাংলাদেশ সহ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর নারীদের ভাগ্য উন্নয়ন ঘটবে। নারীরা তাদের নায্য অধিকার পাবে নির্যাতন ও সহিংসতা থেকে নিরাপদ থাকবে।
নারী পুরুষের পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক বৈষম্য দূর হোক। নয় অবমাননা! নয় কটূক্তি! নয় বৈষম্য! নয় সহিংসতা! নিজ গৃহে ও সমাজে মর্যাদা এবং মানুষ ও বিশ্ব নাগরিক হিসাবে নারীর অধিকার রক্ষা করে আদর্শ সমাজ গড়ে তোলার আহ্বান জানাই।
লেখক : প্রাবন্ধিক, শিক্ষক, সংগঠক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধধন্য নারী
পরবর্তী নিবন্ধনারী তুমি জাগ্রত হও