বাংলার ইতিহাসে ১৫ আগস্ট একটি জঘন্যতম দিন। এই দিনে হত্যা করা হয় বাংলার স্বাধীনতার নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছর সময়ে পেয়েছিলেন দেশ গঠনে। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণীত হলে সেখানে নারীর ক্ষমায়ন ও অধিকার এর প্রতি যে স্বীকৃতি রয়েছে তা বঙ্গবন্ধুর নারীর ক্ষমতায়নের প্রতি চিন্তাধারারই বহিঃপ্রকাশ।
সংবিধানের ২৭, ২৮, ২৯ অনুচ্ছেদে নারী পুরুষের আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকার ও গণ জীবনে সমান অধিকার লাভ ইত্যাদি স্থান পেয়েছে। শুধু তাই নয় নারীদের জন্য সংসদে ১৫ টি আসন সংরক্ষিত রাখার বিধান করেন বঙ্গবন্ধু।
১৯৫৪ সালে বঙ্গন্ধুর স্মৃতি নির্ভর চীনের ভ্রমণ কাহিনি ‘আমার দেখা নয়াচীন’ নামক গ্রন্থে তৎকালীন চীনের আর্থ সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নারীদের অবস্থান ও বাঙালি নারীদের সঙ্গে তাদের তুলনামূলক পর্যালোচনার মাধ্যমে সামগ্রিক ভাবে নারীদের নিয়ে নিজের ভাবনার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন।
বর্তমানে বঙ্গন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর বিশ্বাস ও আদর্শের আলোকে নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়ন বিস্তৃত করছেন বহুধারায়। যার প্রতিফল হিসেবে দেখতে পায় বঙ্গবন্ধুর দেখা নয়া চীনের মতোই বাংলার নারীরাও স্বমহিমায় প্রস্ফুটিত।