নারীর ক্ষমতায়নে চাই যথাযথ উদ্যোগ

দিলোয়ারা কায়েস সুমি

| শুক্রবার , ২৮ জুন, ২০২৪ at ৫:২৩ পূর্বাহ্ণ

নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম, আত্মত্যাগ পারিবারিক সামাজিক ভাবে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। নারীরা নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। নারীরা এখন অবলা নয়। শিক্ষার পাশাপাশি ঘরে বাইরে সবখানে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে। ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে। সমাজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে একজন নারীকে অনেক অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়। নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন না হলে অধিকার পেয়ে ও তা ভোগ করা যায় না। এ ক্ষেত্রে পরিবার সমাজ রাষ্ট্রের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। জীবন চলার পথে আমরা অর্থনৈতিক, পারিবারিক সামাজিক ভাবে নানা ধরনের ঝড়ের মুখোমুখি হয় ।

সেই ঝড়ে আমাদের জীবনগাড়ি নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় যা আত্মবিশ্বাস ঘাটতি এনে দেয়। জীবনের রাস্তা রেসিং ড্রাইভের মত মসৃণ নয়। জীবনের পথ বড় বন্ধুর। চলার পথে নানা ধরণের বাধাবিপত্তিই আসবেই, কিন্তু থেমে থাকলে ক্ষতির পরিমাণই শুধু বাড়বে। কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ে আশেপাশের মানুষগুলো কিংবা সবচেয়ে কঠিন লোকটিও হাল ছেড়ে দিয়েছে বলেই যে আপনাকেও হাল ছাড়তে হবে এমন নয়। পরিস্থিতি যত কঠিনই হোক না কেন, ধীরেধীরে সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে।

এ ক্ষেত্রে নারীদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হবে। নারীর ক্ষমতায়নের ফলে তারা তাদের ইচ্ছে শক্তির প্রতি জোর দিয়ে সামনে দিকে অগ্রসর হতে সুযোগ পাবে। ফলে তারা আর নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। তারা যেকোনো বিষয়ে নিজেদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসী হবে। আগেই বলা হয়েছে যে, নারীরা আর ঘরের ভিতরেই সীমাবদ্ধ নেই। তারা আজ পরিবার, সমাজ এমনকি রাষ্ট্রের যেকোনো বিষয়ে তাদের অবস্থান রয়েছে। যা একটি যুগান্তকারী অর্জন নারী হয়ে।

নারীর এই অগ্রগতির পিছনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো নারীর ক্ষমতায়ন। এই ক্ষমতায়নের পিছনেই রয়েছে নারীর সামনে চলার আরো দৃঢ় বিশ্বাস আর আস্থার একটা বিশাল অংশ। নারীরা তাদের কাজকে করেছে বৃহৎ পরিসরে আর উদ্যোগকে নিয়েছে তার চেয়ে কঠোরভাবে। তাদের এই উদ্যোগ আর প্রচেষ্টার জের ধরে নারীরা আজ দেশ ছেড়ে বিদেশের মাটিতেও সুনাম আর অর্জন। তাই নারীর এই অগ্রগতি আরো বৃহত্তর থেকে বৃহত্তর করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিই হলো নারীর ক্ষমতায়ন। নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হলেই পরে তারা আরো দৃঢ় ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে তাদের কাজের গতিকে আরো তরান্বিত করবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআষাঢ় নেমেছে বলে
পরবর্তী নিবন্ধমাদকদ্রব্যের অপব্যবহার এবং অবৈধ পাচার রোধে সোচ্চার হতে হবে