নারসিসিজমের উত্তরণ প্রসঙ্গে

তসলিম খাঁ | শুক্রবার , ২৯ জুলাই, ২০২২ at ৪:৫৬ পূর্বাহ্ণ

অতি আত্ম-প্রেমের কারণেই আজ নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় হচ্ছে বললে ভুল হবে না। কারণ কিছু মানুষের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে আজ সুশীল সমাজ রীতিমতো উৎকণ্ঠিত। সমস্যাটি নিয়ে লেখালেখি ও আর যাই করুন না কেন, তেমন একটা পরিবর্তন বা লাভ হবে বলে আশা করা যায় না। যেখানে সবখানে আমিত্বকে প্রকাশ করতে তীব্রভাবে ছুটে চলা, সেখানে বলা যায় আমরা বড্ড বেশী আত্ম কেন্দ্রীক হয়ে পড়েছি। এটাকে আমরা নারসিসিজমের উত্তরণ বলতে পারি।
নারসিসিজম একজন রক্তে মাংসে মানুষ ছিল। তবে তার তীব্র দাম্ভিকতা ও অহমিকা ছিল। সে যে কোনো মানুষকে মন থেকে সে পাত্তা দিতো না। মানুষকে মানুষ বলে গণ্য করতো না। অহংকারের শীর্ষে ছিল তার আচার ব্যবহার। তার সব ব্যবহারই ছিল রীতিমত অসহ্য। নারসিসাসের সেই ঔদ্ধত্য আচরণ এতোটাই সীমাহীন ছিল যে, পরিচিত ও নিকট সজ্জনকেও তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতো। তার আচরণে অতিষ্ঠ হয়েছিল বহু মানুষ।
সেই নারসিসাস একদিন এক হ্রদে নিজের ছায়া দেখা মাত্র নিজের ছায়ার প্রেমে পড়ে গেল। নিজের ছায়াকে ভালোবেসে অধীর আবেগে সে হ্রদের পানিতে ঝাপ দিল। তারপর অতল পানিতে ডুবে তার জীবনাবসান হলো। সেই থেকেই নারসিসিজম মানে আত্ম-প্রেম আর অতি আত্ম-প্রেমের কর্মফল মৃত্যু।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসর্বপ্রথম মনের শুদ্ধতা
পরবর্তী নিবন্ধএ যেন মানবতাকে পুটলিতে বেঁধে ছুঁড়ে ফেলা!