নামিবিয়ার রূপকথা

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ রোমাঞ্চকর ম্যাচে আমিরাতকে হারাল নেদারল্যান্ড

ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোমবার , ১৭ অক্টোবর, ২০২২ at ৪:১৩ পূর্বাহ্ণ

এ যেন এক রূপকথা। নামিবিয়ার কাছে শ্রীলংকার পরাজয়। মাত্র কদিন হলো এশিয়া কাপের শিরোপা জিতে বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে খেলতে গিয়েছিল শ্রীলংকা। কিন্তু বিশ্বকাপের মূল পর্বে যাওয়ার লড়াইয়ে নামিবিয়ার কাছেই হেরে গেল তারা। তাও যেনতেন হার নয়। একেবারে ৫৫ রানের বিশাল ব্যবধানে। নামিবিয়াকে ১৬৩ রানে বেঁধে রেখে ব্যাটিংয়ে নেমে শ্রীলংকার হতশ্রী চেহারাই দেখা গেল। নামিবিয়ার বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারলো না লংকান ব্যাটসম্যানরা। ১৯ ওভারে ১০৮ রানেই গুটিয়ে গেল তাদের ইনিংস। রূপকথার জয় দিয়ে আসর শুরু করলো নামিবিয়া। নামিবিয়ার বোলাররা বল করেন দুর্দান্ত লাইন-লেন্থে। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা দাসুন শানাকা কিংবা ভানুকা রাজাপাকসেকে খুব বেশি এগুতে দেয়নি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ইনফর্ম কুশল মেন্ডিসকে হারায় শ্রীলংকা। এরপর চতুর্থ ওভারে দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে লংকানদের চাপে ফেলে দেয় নামিবিয়ার পেসার বেন শিকঙ্গো। এরপর ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে তুলে নেন জ্যান ফ্রাইলিঙ্ক। এরপরই হারের শঙ্কা জাগে লংকান শিবিরে। রাজাপাকসেকে ফেরান স্কল্টজ। এরপর একে একে প্যাভিলিয়নে ফেরেন হাসারাঙ্গা, করুণারত্নেরা। অধিনায়ক শানাকাও দলকে জেতাতে পারেননি। তিনি আউট হন দলীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান করে। শেষ পর্যন্ত লংকানদের ইনিংস থামে ১০৮ রানে। নামিবিয়ার হয়ে দুটি করে উইকেট নেন ডেভিড উইসে, স্কল্টজ এবং শিকঙ্গো।
এর আগে টসে জিতে বোলিংয়ে নেমে লড়াইয়ের শুরুটা দারুণ করেছিল শানাকার দল। ১৬ রানেই নামিবিয়ার দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে চাপে ফেলে লংকার বোলাররা। তবে স্টিফান বার্ডকে নিয়ে ৪১ রানের জুটি করেন অধিনায়ক ইরাসমাস। জ্যান ফ্রাইলিঙ্ক এবং জেজে স্মিট মিলে গড়েন ৭০ রানের জুটি। দলের হয়ে ২৮ বলে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন ফ্রাইলিঙ্ক। স্মিট ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১৬ বলে ৩১ রান করে। লংকানদের মধ্যে দুই উইকেট পেয়েছেন প্রমোদ মধুশান। ম্যাচ সেরা হয়েছেন জান ফ্রাইলিঙ্ক।
এ দিন বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে ৩ উইকেটে জয় পেয়েছে নেদারল্যান্ড। আগে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১১২ রানের সংগ্রহ পায় আরব আমিরাত। জবাব দিতে নেমে শেষদিকের রোমাঞ্চের পর এক বল আগে জয় পেয়েছে ডাচরা। ১৪ রানে নিজেদের প্রথম উইকেট হারায় নেদারল্যান্ড। এরপরও তারা এগিয়ে যাচ্ছিল স্বাচ্ছন্দ্যে। তবে নিয়মিত উইকেটও নিচ্ছিল আরব আমিরাত। শেষ দুই ওভারে ডাচদের দরকার ছিল ১০ রান। ১৯ তম ওভারে ৪ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন জাহোর খান। শেষ ওভার করতে আসেন জাওর ফরিদ। তার প্রথম পাঁচ বলে দৌড়ে ৬ রান নেয় ডাচরা। তাদের পক্ষে ১৮ বলে সর্বোচ্চ ২৩ রান আসে ম্যাক্স ও ডডের ব্যাটে। আমিরাতের পক্ষে ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন জুনায়েদ সিদ্দিকী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাত বছর পরও শুরু হয়নি কাজ
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক কাভারেজ ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি