জনশক্তি রপ্তানিতে সরকার নির্ধারিত ফিয়ের বাইরে প্রায় ৩৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে নাফিসা কামালসহ আট ব্যক্তি ও তাদের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ্তসিআইডি। নাফিসা কামাল মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের মেয়ে। গতকাল রোববার ঢাকার গুলশান থানায় মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ এনে মামলাটি করার কথা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে সিআইডি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযোগ ওঠা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘প্রতারণার মাধ্যমে’ সরকার নির্ধারিত ফিয়ের বাইরে প্রায় ৩৩ কোটি ৪৪ লাখ ৬৩ হাজার ৬১০ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। মামলায় বাকি সাত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নাফিসা কামালের জনশক্তি রপ্তানি প্রতিষ্ঠান ‘অরবিটালস ইন্টারন্যাশনালের সহযোগী সিন্ডিকেট সদস্য’ বলা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
মামলায় বিবাদীর তালিকায় রয়েছে–ইরভিং এন্টারপ্রাইজের মালিক হাফিযুল বারী মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, আমান এন্টারপ্রাইজের রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী, আহাদ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের জসিম উদ্দিন আহমেদ, আক্তার রিক্রুটমেন্ট এজেন্সির মো. আকতার হোসাইন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশ হোল্ডিংস প্রাইভেট লিমিটেডের শিউলী বেগম, মৃধা ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন কাউসার মৃধা ও রাব্বি ইন্টারন্যাশনালের মোহাম্মদ বশির। প্রাথমিক অনুসন্ধানের কথা জানিয়ে সিআইডি বলছে, অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে ২০২২ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট তিন হাজার ১১১ জন কর্মী মালয়েশিয়ায় পাঠান। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার নির্ধারিত জনপ্রতি ফি ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার বিপরীতে অবৈধভাবে জনপ্রতি দেড় লাখ টাকা গ্রহণ করে। এছাড়া সরকারিভাবে পাসপোর্ট খরচ, কোভিড–১৯ পরীক্ষা, মেডিকেল ফি ও পোশাকসংক্রান্ত ফিয়ের বাইরে প্রতি কর্মীর কাছ থেকে ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা অতিরিক্ত গ্রহণ করার তথ্য পাওয়ার কথাও বলেছে সিআইডি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মামলার তদন্ত কার্যক্রম সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট পরিচালনা করছে। আসামিদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাবর–অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান করা হচ্ছে। অপরাধের ‘পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটনসহ’ জড়িত অন্যদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে সিআইডির তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।












