চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রধান ফটক থেকে সোজা কাটাপাহাড় হয়ে সামনে গেলেই দেখা মিলবে চবির শহীদ মিনারের। বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো প্রতিবাদ কর্মসূচি, আন্দোলনের জায়গা হিসেবে পরিচিত এ প্রাঙ্গণ। রমজানে শহীদ মিনারে বসে অনেকে ইফতার করেন। শহীদ মিনারের পাদদেশে বসে আড্ডা, গান, গ্রুপ স্টাডি করে থাকেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রবিন্দু ধরা হয় এটিকে। ২১শে ফেব্রুয়ারি মহান মাতৃভাষা দিবসে এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে শহীদ মিনারে শহীদদের স্মরণে সর্বস্তরের মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পন করে থাকেন। নানা কারণে গুরুত্ব বহন করে এ শহীদ মিনার।
জানা গেছে, ১৯৬৬ সালে চারটি ইটের স্তম্ভে নির্মিত হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল ঘূর্ণিঝড়ে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে ১৯৯৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন আমলে বর্তমান শহীদ মিনারটি নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে শহীদ মিনারের সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। শহীদ মিনারটি নান্দনিক করে তোলা হবে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ–উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন। সম্প্রতি তিনি শহীদ মিনার পরিদর্শন করেন এবং সংস্কার কাজ দেখভাল করেন। উপ–উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার একটি নান্দনিক কারুকার্যে ভরা। দীর্ঘদিন ধরে শহীদ মিনারকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়নি। শহীদ মিনারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। শহীদ মিনারের এলাকার সৌন্দর্যের উপর বিশ্ববিদ্যালয় সৌন্দর্য নির্ভর করে। শহীদ মিনারের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কাজ শুরু করেছি। সকলের সহযোগিতা চাই। প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে চবির ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী শামীম হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। আমাদের ক্যাম্পাসে কেউ ঘুরতে আসলে প্রথমে শহীদ মিনারে অবস্থান করেন; এরপর ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রস্থল এটি। এজন্য এটি নান্দনিক হওয়া খুবই দরকার।