নতুন মেয়রের অতীত ইতিহাস খুবই ভালো। উনি কখনো দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন না, সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ছিলেন না। তাই আমরা প্রত্যাশা করবো, ভবিষ্যতেও তিনি অতীতের সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করবেন। উনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধে তিনি শহীদ হতে পারতেন। সেই হিসেবে বলতে হয়, এটি উনার এক্সটেনশন লাইফ। তবে নতুন মেয়রের সামনে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যদিও জলাবদ্ধতা নিয়ে আপাতত উনার মাথা ঘামাতে হবে না। তবে নগরীর যানজট নিরসনে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারেন। চট্টগ্রাম নগরীতে সুস্থ বিনোদনের জায়গার খুবই অভাব। উন্মুক্ত জায়গার অভাবে মানুষের মধ্যে অস্থিরতা বাড়ছে। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে তার প্রভাব পড়ে সরাসরি পারিবারিক জীবনে। খেয়াল করলে দেখবেন, এখন আগের চেয়ে পারিবারিক বিচ্ছেদের ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে। তাই এই শহরে বিনোদনের জন্য, শিল্প সংস্কৃতি চর্চার জন্য নাট্যমঞ্চ ও বিনোদনকেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে। এছাড়া নগরীতে মশার সমস্যা সব সময়ই ছিল। পৃথিবীর কোনো দেশ মশা উৎখাত করতে পারেনি। তবে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আমাদের সংবিধানে স্থানীয় সরকার বিভাগকে যতটুকু ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, তা মেয়ররা ভোগ করতে পারছেন না। নগরীর সেবাসংস্থাগুলো যার যার মন্ত্রণালয়ের কাছে দায়বদ্ধ। তাই মেয়রের কাছে তাদেরকে জবাবদিহিতা করতে হয় না। যার ফলে সেবা সংস্থাগুলোর কাজের সাথে সমন্বয়হীনতাও দেখা দেয়। তবে নতুন মেয়র একজন দক্ষ সংগঠকও বটে। আমরা আশা করবো, নগরের বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের মতামত নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীকে একটি আধুুনিক নগরীতে রূপান্তরিত করতে সক্ষম হবেন।