নাটক ‘অপেক্ষা’র মঞ্চায়ন

প্রতিনিধি নাট্যোৎসবের তৃতীয় দিন

আজাদী ডেস্ক | সোমবার , ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৬:৪০ পূর্বাহ্ণ

গাইবান্ধা শহরের একজন কলেজ পড়ুয়া যুবক নজরুল ইসলাম। ছাত্র রাজনীতিতে যুক্ত থাকায় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিলেন। অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ শোনে। একের পর এক অপারেশনে পর্যুদস্ত করছিলেন পাকিস্তানি সৈন্যদের। পাকিস্তানি সৈন্যরা রাজাকারদের আদেশ দেয়, যেকোনো মূল্যে মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলামকে ধরতেই হবে।

এদিকে নজরুল সহযোদ্ধার কাছে অসুস্থ মায়ের খবর শুনতে পায়। বিপদের আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও অসুস্থ মাকে দেখতে ছুটে আসে নজরুল। অসুস্থ মাকে ফেলে রেখে রাতে যেতে পারে না। ওত পেতে থাকা রাজাকারদের কাছে খবর যায়। মায়ের বুকফাটা আর্তনাদ উপেক্ষা করে টেনেহিঁচড়ে নজরুলকে নিয়ে যায় রাজাকার বাহিনী। নির্মম নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয় নজরুলকে।

শহীদ মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলামের মায়ের বিশ্বাস, ছেলে ফিরে আসবে। প্রায় বাড়ির গেটে অপলক দাঁড়িয়ে থাকেন। ১৯৭১ সাল থেকে মা অপেক্ষায়।

মুক্তিযুদ্ধের সত্য ঘটনা চিত্রিত হয়েছে ‘অপেক্ষা’ নাটকে। রচয়িতা নাট্যজন প্রদীপ দেওয়ানজী। গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে প্রতিনিধি নাট্য সমপ্রদায় মঞ্চস্থ করে নিজস্ব নাটক ‘অপেক্ষা’। নাটকটির নির্দেশনায় মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন নাট্যজন হাসান জাহাঙ্গীর।

মাঝে মাঝে নেপথ্য কণ্ঠে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা। প্রতিটি চরিত্রের সাবলীল অভিনয়। নাটকের সংলাপ, মঞ্চের সেট, হলভর্তি দর্শকপ্রতিনিধি নাট্য উৎসবের তৃতীয় দিনে সব মিলিয়ে অন্যরকম পরিবেশের সৃষ্টি হয়। হাসান জাহাঙ্গীরসহ এ নাটকে অভিনয় করেছেন প্রতিনিধির ২৩ জন সদস্য।

দ্রোহে প্রেমে সংগ্রামে এস নাটকের প্রাঙ্গণেএই স্লোগানে শুরু হওয়া প্রতিনিধি নাট্যোৎসবে আছে ঢাকার আটটি নাট্যদল। নাট্যকর্মী দিলরুবা খানমের সঞ্চালনায় উৎসব ঘোষণা পাঠ করেন জুলকারনাইন সাদমান।

মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠানে ছিল ঘুঙুর নৃত্যকলা কেন্দ্রের দলীয় নৃত্য। সঙ্গীত পরিবেশন করেন মোস্তফা কামাল ও ইকবাল হায়দার। আজ সোমবার মিলনায়তনে নাটক ‘উজানে মৃত্য’। পালাকার ঢাকা প্রযোজিত নাটকটির রচয়িতা সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, নির্মাণে শামীম সাগর।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশ্বাসনালী পুড়ে গেছে অভিনেত্রী আঁখির
পরবর্তী নিবন্ধসুপার ফোরে রেলওয়ে লিটল ব্রাদার্সের জয়