নাজিরহাট-কাজিরহাট রামগড় সেকশন-১ সড়কের একাংশ ধসে পড়ছে। সড়কের মন্দাকিনী সেতুর পূর্ব পাশের বড় একটি অংশ দেবে যাওয়ায় যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি বাড়ছে। হাটহাজারী-ফটিকছড়ি দুই উপজেলার সংযোগ সড়কটি বৃটিশ আমল থেকে জন চলাচলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হিসেবে বিবেচিত।
‘চট্টগ্রাম-রামগড় সেকশন-১’ নামে পরিচিত উক্ত সড়কটি চট্টগ্রাম জেলায় ঐতিহাসিক চারটি সড়কের মধ্যে অন্যতম। নাজিরহাট থেকে রামগড় পর্যন্ত দীর্ঘ ৪৫ কিলোমিটার সড়কের প্রথম এক কিলোমিটার এ হালদা নদী ও মন্দাকিনী খালের সংযোগস্থল হওয়ায় সড়কটি রীতিমত ঝুঁকিতে রয়েছে।
ফটিকছড়ির স্থানীয় সাংসদ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীর প্রচেষ্টায় গেল শুষ্ক মৌসুমে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে ঐ অংশে পৌনে ৩ কোটি টাকা বরাদ্দে মন্দাকিনী সেতু ও অ্যাপ্রোচ সড়ক এবং আরো সাড়ে ৭ কোটি টাকা বরাদ্দে এ সড়কের ১০ কিলোমিটার উন্নয়নের আওতায় আনা হয়। সেতু ও অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ শেষ হতে না হতেই পূর্বাংশে পানির তোড়ে ধসে যায়। ফলে এ সড়কের উল্লেখিত অংশ ক্রমশ আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। এ ব্যাপারে ত্বরিত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে সড়কে যানবাহন চলাচল যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।
এ ব্যাপারে বারমাসিয়া আবদুল করিম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মফিজুর রহমান বলেন, সড়কে যেভাবে ধস নেমেছে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সড়কের পাশে বড় যে গর্ত রয়েছে সেটি ভরাট করে দিলেই ধস কমে আসবে এবং সড়কও সুরক্ষিত হবে।
তিনি জানান, সড়কটির অল্প কিছু অংশ হাটহাজারীর, বাদ-বাকিটা পড়েছে ফটিকছড়ি উপজেলায়। ফটিকছড়ি উপজেলার আওতাধীন যেসব ইট ভাটা রয়েছে সেসব ভাটা মালিকদের সঙ্গে দুই উপজেলার প্রশাসন আলাপ-আলোচনা করে সড়কটি জরুরি চলাচল উপযোগী করা যেতে পারে।
সড়ক ধসের ব্যাপারে হাটহাজারী ও ফটিকছড়ি দুই উপজেলার দায়িত্ব পালনকারী স্থানীয় সরকার প্রকৌশলীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।