জীবনের একটা সময় পথই ছিল তার ঠিকানা, পানি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেছেন; সেখান থেকে নাচতে নাচতেই উঠে এসেছেন বিশ্বমঞ্চে। মালির নৃত্যশিল্পী সুলেমান সানোগো নিজের জীবন গল্প বলতে শরণ নিয়েছেন নাচের; শরীরী ভাষা আর অভিব্যক্তির প্রকাশে মঞ্চের আলোয় সংগ্রামের ছবি এঁকে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পেয়েছেন ‘সোলো’ নামে। সোলো এবার আসছেন বাংলাদেশে। আগামীকাল শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে দেখা যাবে তার পরিবেশনা ‘নাচ অথবা নৈরাজ্য’। খবর বিডিনিউজের।
এই শিল্পীর ভাষ্যে, আমি যখন নাচি, তখন সবকিছু ভুলে যাই। ওই সময়টাই আমি সবচেয়ে সুখ অনুভব করি। নাচ আমার নিজেকে খুঁজে পাওয়া।
শৈশবজুড়ে নির্মমতা আর দারিদ্র্যকে সঙ্গী করে বেড়ে উঠা সোলোর জীবন বদলে দিয়েছে নাচ। ১৯৮৮ সালে মালির নিভৃত গ্রাম সোমাদোগোয় সুলেমান সানোগোর জন্ম। পরিবারে টিকতে না পেরে ১৫ বছর বয়সে তিনি বামকো শহরে পাড়ি জমান। খাবার জোগাড় করতে রাস্তায় রাস্তায় পানির বোতল বিক্রি শুরু করলেন। এক সময় হাইতির কোরিওগ্রাফার কেটি নোয়েলের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। নোয়েলের এক বন্ধু গৃহহীনদের সহায়তা করতেন। সোলোকে তিনি নাচের স্কুলে ভর্তি করানোর পর প্রথম ক্লাসে কনটেমপোরারি নাচের সঙ্গে প্রথম পরিচয় হয় সোলোর; সেই ক্লাস তার জীবন বদলে দেয়।