নাগরিক ভূমি সেবায় নিয়োগ হচ্ছে জেলাভিত্তিক এজেন্ট : ভূমিমন্ত্রী

| শুক্রবার , ৩ মার্চ, ২০২৩ at ৫:৫০ পূর্বাহ্ণ

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেছেন, জেলাভিত্তিক এজেন্ট নিয়োগ করে নাগরিকদের ভূমিসেবা দেওয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এজন্য প্রাইভেট এজেন্টশিপ নীতিমালাও প্রণয়ন করা হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ’ এবং ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’ এর উদ্যোগে আয়োজিত রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত ব্র্যাক সেন্টার ইনএ ‘ভূমি ব্যবস্থাপনায় সাম্প্রতিক উদ্যোগ ও নাগরিক অধিকার’ শীর্ষক এক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী এই কথা বলেন। ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান মুখ্য বক্তা হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ভূমিমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের দেশের বাস্তবতায় ডিজিটাল সাক্ষরতা এখনও শতভাগ নয়। এজন্য সবার পক্ষে অনলাইনে ডিজিটাল সার্ভিস গ্রহণ সম্ভব নয়। এজন্য সবদিক বিবেচনা করে, সবার কথা মাথায় রেখে আমরা ভূমি সেবা এজেন্ট নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি জানান, ভূমি ভবনে একটি নাগরিক সেবাকেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে জেলা পর্যায়ে এ সেবা সম্প্রসারণ করা হবে। কলসেন্টার ছাড়াও এসব সেবা কেন্দ্রে নাগরিকরা সরাসরি গিয়ে ভূমিসেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এছাড়া প্রাইভেট এজেন্ট কার্যক্রম মনিটরের জন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে এবং উপজেলা ও জেলা ভিত্তিক নাগরিক কমিটি করার কথাও বিবেচনায় রয়েছে।

জাবেদ বলেন, আমরা ভূমিসেবা সিস্টেম এমনভাবে উন্নয়ন করছি যেন দুর্নীতির সুযোগ না থাকে। এ প্রেক্ষিতে তিনি উন্নত দেশের উদাহরণ দিয়ে বলেন, সিস্টেমের করণে ওখানে অনেকের দুর্নীতি করার সুযোগ থাকে না। মাঠ পর্যায়ের ভূমি অফিসের কাজ নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। কোন উপজেলায়, কোন সার্কেলে কতদিনে ফাইল নিষ্পত্তি হচ্ছেআমরা তা দেখছি এবং ফিডব্যাক নিচ্ছি। পর্যায়ক্রমে মনিটরিং কার্যক্রম অধিক নিবিড় করা হবে।

মূখ্য বক্তা ভূমি সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর, নামজারি, খতিয়ান ও ম্যাপসহ অন্যান্য খাত থেকে ২০২২২৩ অর্থবছরে মাত্র ৮ মাসে ডিজিটাল ভূমিসেবা সিস্টেম থেকে সরকারি কোষাগারে প্রেরণ করা হয়েছে ৫৫০ কোটি টাকার বেশি অর্থ। অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর চালু হবার পর গত ২০২১ এর সেপ্টেম্বর থেকে এই পর্যন্ত শুধু অনলাইনে রাজস্ব সংগ্রহের হার প্রায় ৪৭০ কোটি টাকা। ২০২২২৩ এ আদায়ের অগ্রগতি ৩২৬%। গত ২০ ফেব্রুয়ারি এক দিনেই আদায় হয়েছে সাড়ে ৩ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব। ২০২১ সাল থেকে এই পর্যন্ত ইনামজারি ফি আদায় হয়েছে ২০০ কোটি টাকার বেশি। প্রতিদিন গড়ে আদায় হচ্ছে ১ কোটি টাকা।

অনুষ্ঠানের বিশেষ বক্তা টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনায় সংস্কার কার্যক্রম আমাদের ধারণার চেয়ে বেশি হয়েছে। তিনি একে ‘ইন্সপায়ারিং ইনিশিয়েটিভ’ (অনুপ্রেরণামূলক উদ্যোগ) হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, আরও সামনের দিকে অগ্রসর হবার সময় আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে যেন কায়েমি স্বার্থবাদী গোষ্ঠী প্রভাব বিস্তার না করতে পারে।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের সভাপতি এবং সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাতারবাড়ীকে ঘিরে আরো উন্নয়নের অংশীদার হতে চায় জাপান
পরবর্তী নিবন্ধঝুঁকি নিয়ে এগিয়ে যেতে হয় তবেই আসে সাফল্য