নাইক্ষ্যংছড়িতে ক্ষতিগ্রস্ত ৫ হাজার পরিবার

ঘূর্ণিঝড় মোখা আম, কলা বাগানসহ শতাধিক পানের বরজের ক্ষতি

নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ১৬ মে, ২০২৩ at ৭:১৪ পূর্বাহ্ণ

নাইক্ষ্যংছড়িতে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ৫ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ১৮০টি বসতঘর, সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত বাড়িঘরের সংখ্যা ৫০টি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ও (ভারপ্রাপ্ত) উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মুনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

উপজেলার ৫ ইউনিয়নের ৪৫টি ওয়ার্ডে কলা, পানের বরজ, সবজি ও ধান ক্ষেত রয়েছে। মোখার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশিরভাগ বাগান। সংশ্লিষ্টরা জানান, শতাধিক পানের বরজে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কলা বাগান, সবজি, আম ও অন্যান্য কৃষি পণ্যের অনেক ক্ষতি হয়।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কলা চাষি মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, আমার বাগানে কলা গাছ রয়েছে ৩ হাজার। সেখানে ১ হাজার কলা গাছ ভেঙে গেছে। চাষি রশিদ আহমদ বলেন, মোখার তাণ্ডবে আমার নিজেরসহ এলাকার অন্তত ২৫টি পানের বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কলা, আম ও পেঁপে বাগানে ক্ষতি ব্যাপক আকারে হয়েছে।

কৃষি কর্মকর্তা মো. এনামুল হক বলেন, রোববার ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে নাইক্ষ্যংছড়িতে মারাত্মক কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে কলা, সবজি, পানের বরজ ও আংশিক ধানের ক্ষতি হয়েছে। যার তালিকা করতে ১/২ দিন লাগবে। এরপর বিস্তারিত জানা যাবে।

উল্লেখ্য, গত রোববার ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডব শুরু হয় বেলা আড়াইটায়। এর আগে উপজেলার ৫ শতাধিক মানুষ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছিল। পরে ধমকা হাওয়া ও ঝড়বৃষ্টি কমে গেলে তাদের অধিকাংশ বাড়ি ফিরে যায়। বাকীরা গতকাল সোমবার বাড়ি ফিরে। মোখার আঘাতের পর গতকাল সকাল থেকে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব নিতে মাঠে নামে উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদ, কৃষি অফিস ও পিআইও অফিস।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনাইক্ষ্যংছড়িতে ১১ জনকে আসামি করে মামলা,গ্রেপ্তার ৪
পরবর্তী নিবন্ধদুই হাজার হেক্টর অতিরিক্ত ধানি জমি চাষাবাদের আওতায় আসবে