একটি দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে সেই দেশের দক্ষ জনশক্তি। আমাদেরও বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রার সাথে তাল মিলিয়ে প্রাগ্রসর হতে হবে। গতকাল বুধবার রাঙ্গুনিয়া স্টুডেন্টস ফোরাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘রাঙ্গুনিয়ার কৃতীজন পরিচিতি’ অনুষ্ঠানের চলমান পর্বের অতিথি আলোচকের বক্তব্যে প্রবাসী বিজ্ঞানী ড. নওশাদ আমিন এসব কথা বলেন। সৌরশক্তি গবেষণার ভিজুয়াল প্রেজেন্টেশন উপস্থাপনের মাধ্যমে তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস হিসেবে সৌরশক্তির আধুনিকায়ন হচ্ছে এবং সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে এর সম্ভাবনার দ্বার প্রসারিত হচ্ছে। ভবিষ্যৎ টেকসই, বাসযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব পৃথিবী গড়তে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসের যথোপযুক্ত ব্যবহারে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রায় ১৪০টি দেশ ২০৫০ সাল নাগাদ নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস ব্যবহারের রোডম্যাপে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করে নিয়েছে, যার মধ্যে শতকরা ৫০ ভাগ আসবে সৌরশক্তি থেকে। বাকি ৫০ ভাগ আসবে বায়ুকল ও সমুদ্রের ঢেউয়ের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের তুলনায় সৌরশক্তির গ্রহণযোগ্যতা সব দিক বিবেচনায় বেশি। উন্নত দেশগুলো ইতিমধ্যে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহারে পরিকল্পনামত অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশেও সৌরশক্তির ব্যবহারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। এই বিষয়ে অভিজ্ঞ পরামর্শকদের অন্তর্ভুক্ত করে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। দেশের স্বার্থে ও উন্নয়ন অগ্রযাত্রার প্রশ্নে আপোষহীনতা, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার কোনো বিকল্প নেই। তরুণ গবেষক ও বিজ্ঞানীদের উদ্দেশে ড. নওশাদ বলেন, কোনো বিষয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে নিজের জড়তাকে দূরে ঠেলে দিয়ে একাগ্রচিত্তে লক্ষ্য স্থির করে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। রাঙ্গুনিয়া স্টুডেন্টস ফোরাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে ভার্চুয়াল ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুর রহমান শিহাব। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।