বৃষ্টিভেজা দুপুর গড়িয়ে যায়, আসে মুক্তগদ্যের বেসামাল প্রহর
ডুবন্ত সময় কেটে গেছে কতো, কাক ডাকা ভোরের
শিশিরেও নয়,হয়তো কুয়াশাহত আকাশের বুকে,
চন্দ্রালোকিত মর্ত্যভূমিতে এগোই, হাঁটি, বয়ে চলি
জীবনতটে। কিশোর-কিশোরী বেলার পুরনো রোদ্দুর টেনে
আনি সন্ধ্যা গড়ানো কুটিরের সবুজেময় পর্বতাবেশে,
যেখানে শব্দতরঙ্গ ভাসিয়ে বেড়ায় একলা প্রেয়সীর মন যমুনা
আর হস্তালপনের রোমাঞ্চকর অভিগম্যতা; উদভ্রান্ত পথিক দ্বিপ্রহর
গুণে রাতের বুকে আঁকে চুম্বন রেখা এক।
কৃষ্ণময় পোশাকে ঢাকা চঞ্চলা রমনীর ছায়ায়
ষোড়শী আবেগের দরোজা কাঁপে। টোকা দেয়া সন্ধানী প্রেমিকের
চোখ পেলবতায় ভরে ওঠে শৈল্পিক সৌন্দর্যের বাতাবরণ।
স্বপ্নের ব্যবচ্ছেদ হয় ইন্দ্রজাল জড়ানো
সময়ের বাঁকানো পথে। হারি- জিতি, খুনসুটির
জোয়ারে ভাসি। ফেলি নিঃশ্বব্দ অশ্রুজল, মধ্যরাতের পর
কুয়াশাভেজা সকাল জেগে ওঠে ঘুম ভাঙা প্রহর ছুঁয়ে।
অচিন্ত্যনীয় কান্না ও সুরের ভাবনায় ঘটে গেছে অবিমিশ্র
ভালোবাসার তীব্র ব্যঞ্জনা, হয়তো এক বরষার রাতে
আশা জাগানীয়া গানের মুর্ছনায় নাচবে, দোল খাবে জীবন
কবিতার শহর মেতে উঠবে কবিতাপ্রেমীর দল
পদাবলী মরুমন; দৌড়ে পালাবে একাকীত্বের মনোবেদনায়
কাঁপা ছো্ট্ট উষ্ণ বিকেল, জাগবে শূন্যতার ভরদুপুরও
সময় অসময়ের মৌসুম ফিরে পাবে ঠিকানা নতুন বিকেলের।