বন্দর ব্যবহারকারী পরিবহনগুলো থেকে নির্দিষ্ট হারে ট্যাক্স আদায় এবং কাস্টমের বিল অব এন্ট্রি থেকে একটি নির্দিষ্ট হারে চার্জ আদায়ে মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের ২০ থেকে ৩০ টন বোঝাই মালামাল ট্রাক ও লরি চলাচলের কারণে সিটি কর্পোরেশনের নির্মিত সড়কগুলো দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই বন্দর ব্যবহারকারী পরিবহন ও কাস্টম থেকে চার্জ আদায় করতে হবে। গতকাল অনুষ্ঠিত চসিকের বর্তমান পর্ষদের ১৯তম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, কর্ণফুলী টানেল, মীরসরাই বিশেষ শিল্পাঞ্চল, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর, বে টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শেষ হলে নগরের গুরুত্ব যেমন বেড়ে যাবে তেমনি ব্যবসা-বাণিজ্যে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিদেশিদের আগ্রহও বৃদ্ধি পাবে। অর্থাৎ চট্টগ্রাম হবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার হাব। এ কারণে চট্টগ্রাম নগরীকে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সাজাতে হবে। নগরীকে সাজাতে হলে সিটি কর্পোরেশনকে অভিভাবকের ভূমিকা পালন করতে হবে মন্তব্য করে মেয়র বলেন, এজন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। কিন্তু সিটি কর্পোরেশনকে গৃহকরের ওপর নির্ভর করে বিশাল অংকের আর্থিক ব্যয় নির্বাহ করতে হচ্ছে। তাই কর্পোরেশনকে আর্থিকভাবে সচ্ছল করতে হবে। এর অংশ হিসেবে বন্দর ও কাস্টমস থেকে চার্জ আদায়ের বিষয়ে জোর দেন মেয়র।
নগরে ভবন নির্মাণের নকশা অনুমোদন সিডিএর ওপর একক দায়িত্ব না রেখে চসিককেও দায়িত্ব দেয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন মেয়র। উচ্ছেদ করার পর জায়গা পুনর্দখল রোধে বাগান করার নির্দেশনা দেন তিনি। যান্ত্রিক শাখার গাড়িগুলো মাদারবাড়ি চসিকের গ্যারেজে রেখে রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেন। এছাড়া আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের দরপত্র আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে শেষ করে শুকনো মৌসুমে শেষ করার নির্দেশনা দেন। বারইপাড়া খালের অগ্রগতি মাসিক প্রতিবেদন আকারে পেশ করার জন্য প্রকৌশলীদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
মেয়র নগরবাসীকে গৃহকরের ওপর মহল-বিশেষের বিভ্রান্তিতে কর্ণপাত না করে নতুন ধার্যকৃত করের অসঙ্গতিগুলো দূর করার জন্য অভিযোগের ক্ষেত্রে স্ব স্ব কাউন্সিলরকে করদাতাদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানান এবং কর আদায়ের ক্ষেত্রে কোনো অভিযোগ আসলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেন।
সভায় চসিক মেয়রকে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা প্রদান করায় নগরবাসীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন, মো. গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরগণসহ চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম প্রমুখ।