নগরীর বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে নগরজুড়ে। গতকাল সকাল থেকেই নগরীতে যানজট চরম আকার ধারণ করে। বিশেষ করে জাকির হোসেন রোড, সিটি গেট, অক্সিজেন মোড়, নতুন ব্রিজসহ আশপাশের এলাকায় যানজটের মাত্রা তীব্র আকার ধারণ করে। এসময় বিভিন্ন স্পটে ট্রাফিক পুলিশকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়।
তবে ট্রাফিক পুলিশ বলছে, পরিস্থিতি মেনে নিতেই হবে। লিংক রোড হওয়ার আগে গাড়ির চাপ সহ্য করেও যেমন যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেছি, এবারও তা-ই করা হবে। সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শ্যামল কুমার নাথ আজাদীকে বলেন, রাস্তা তো আর প্রশস্ত করা যাবে না, যানবাহন চলাচলে কীভাবে শৃঙ্খলা ফেরানো যায়, সে চেষ্টা-ই করতে হবে। আমরা কয়েকটি স্থানে অতিরিক্ত ফোর্স নিয়োগ করছি। যেমন- সিটি গেট, এ কে খান, অক্সিজেন মোড়, নতুন ব্রিজ এ তিন মাস ভারি যানবাহনগুলো যেহেতু এদিক দিয়েই চলাচল করবে কাজেই এসব স্থানে ফোর্সের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া খুলশী, জিইসি এলাকায় কিছু শপিং মল আছে, এখানে গাড়ির একটু চাপ থাকে, সেখানেও যথাসম্ভব আমাদের চেষ্টা থাকবে জনগণের সহযোগিতায় যানজট নিরসনের।
এমনিতেই যানজট ও নগর জীবন সমার্থক শব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে চট্টগ্রাম নগরীতে। যানজটের কবলে পুরো নগরী স্থবির হয়ে পড়ে। সকাল থেকে দুপুর, দুপুর থেকে বিকেল, এরপর সন্ধ্যা গড়াতেই বিভিন্ন মোড়ে যানজট চরম আকার ধারণ করে। সঙ্গে যোগ হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ, আর সময়ের অপচয়। লকডাউন চলাকালেও সপ্তাহের পাঁচদিন চট্টগ্রামের রাস্তাগুলোতে ট্রাফিকের কোন নিয়ন্ত্রণ থাকে না। অপরিকল্পিত চলাচল ও ব্যবস্থাপনাজনিত ত্রুটি পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে। এ অবস্থায় তিন মাসের জন্য বায়েজিদ বোস্তামি- ফৌজদারহাট লিংক রোড বন্ধ থাকা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।
সিএমপির ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (পশ্চিম) বিপ্লব কুমার পাল আজাদীকে বলেন, লিংক রোড হওয়ার আগে গাড়ি যেভাবে চলতো, এ তিন মাস সেই পরিস্থিতি মেনে নিতে হবে। গাড়ির চাপ বাড়বে, বিশেষ করে ভারী যানবাহনগুলোর চাপ বেড়ে যাবে। কিছুই করার নেই। দেখি, আমরা বাড়তি জনবল নিয়োগ দিয়ে পরিস্থিতি কতোটা সামাল দিতে পারি। চেষ্টার কোন ত্রুটি থাকবে না।
তিন মাসের জন্য বন্ধের ঘোষণায় উল্লেখ্য, সিডিএ কর্তৃপক্ষ পাহাড় ধসের শংকায় বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোডে আগামী তিনমাসের জন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। সড়কটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন না হলেও ওই সড়ক দিয়ে কিছু যানবাহন চলাচল করে। শুক্র, শনিবার অনেকে ওই সড়কে বেড়াতেও যান। বর্ষায় পাহাড় ধসে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে। এছাড়া ওই সড়কে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব কারণে আগামী ৩০ আগস্ট পর্যন্ত এ সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। সড়ক বন্ধ রাখতে ইতোমধ্যে ট্রাফিক বিভাগকে চিঠি দেয়া হয়েছে।












