ধোপাছড়িতে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৫

চন্দনাইশ প্রতিনিধি | রবিবার , ২৬ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৪:৪৫ পূর্বাহ্ণ

চন্দনাইশ ধোপাছড়ি ইউনিয়নে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেলে ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড ছাপাছড়ি ও গন্ডামারা এলাকায় গণসংযোগ করছিলেন নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আবদুল আলীম। ওইদিন বিকেলে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মো. মোরশেদুল আলম ধোপাছড়ি বাজারে গণসংযোগ করছিলেন। তিনি মো. জাহাঙ্গীর আলম সওদাগরের দোকানে বসে বক্তব্য দেয়ার সময় নৌকা প্রতীকের সমর্থক জাহাঙ্গীর আলমের ভাই মো. আরিফ দোকান থেকে আনারস প্রতীকের প্রার্থীকে বের করে দিতে বলেন। এ নিয়ে বাজারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে ধোপাছড়ি বাজারে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোরশেদুল আলমকে আটকিয়ে রেখে মারধর করা হচ্ছে বলে গুজব ছড়ানো হয়। এ খবর গন্ডামারা এলাকায় পৌঁছলে সেখানে গণসংযোগরত অবস্থায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আবদুল আলীম ও তার সমর্থকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল আলীমের ৯ জন কর্মী সমর্থক যথাক্রমে জমির উদ্দিন (৩০), আনোয়ার হোসেন (২৮), জমির উদ্দিন (৩০), ফখরুল ইসলাম (২২), নজরুল ইসলাম (২৮), নুরুল আবছার (৪৫), মোছলেম উদ্দিন (৫০), মো. ইলিয়াছ কাঞ্চন (২১), জমিরুল ইসলাম (৩১) এবং এক ঘটনায় বর্তমান চেয়ারম্যান মোরশেদুল আলমের ৫ সমর্থক যথাক্রমে মো. সাজ্জাদ (২০), মো. শাহাদাত (২১), জসিম উদ্দিন (২৩), মো. শাহেদ (২২), মোজাম্মেল হক (২০)সহ ১৫ জন আহত হয়। হামলার সময় গন্ডামারা এলাকায় চা দোকানি নুরুল আমিন (২৫) নামে অপর একজন গুরুতর আহত হয়। আহতদের দোহাজারী হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আবদুল আলীম বলেন, গতকাল বিকেলে ধোপাছড়ি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড গন্ডামারা এলাকায় গণসংযোগ করছিলাম। সন্ধ্যার আগে আগে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোরশেদুল আলমের সমর্থকরা অতর্কিতভাবে আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে নৌকা প্রতীকের ৯ জন কর্মী সমর্থক গুরুতর আহত হয়।
এব্যাপারে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোরশেদুল আলম বলেন, গতকাল বিকেলে ধোপাছড়ি বাজারে গণসংযোগকালে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবদুল আলীমের সমর্থকরা আমাকে জিম্মি করে। এসময় আরিফ নামে নৌকা প্রতীকের এক সমর্থক আমাকে গালিগালাজ করে হামলা চালানোর চেষ্টা চালায়। এতে আমার ৫ জনের বেশি সমর্থক গুরুতর আহত হয়।
ধোপাছড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (উপ-পুলিশ পরিদর্শক) আতাউল চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উভয়পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, ধোপাছড়ি ইউনিয়নের প্রতিদ্বন্দ্বী দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে তর্কাতর্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে কিল-ঘুষিতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়। এব্যাপারে কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ করেন নি বলে জানান তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআগুন লাগল-ছড়াল কীভাবে
পরবর্তী নিবন্ধকরোনা ল্যাব পরীক্ষামূলক চালু হচ্ছে বুধবার