ধূমপান মানে বিষপান, সবারই জানা। তবুও বহু মানুষ ধূমপান করে। বাইরে থেকে যদিও বোঝা যায় না, কিন্তু ভেতরে ভেতরে ধূমপানে শেষ হতে পারে প্রতিটি অঙ্গ। বিড়ি–সিগারেট কেবল নিজে জ্বলে না, অন্যদেরও জ্বালায়। শুধু সরাসরি বা প্রত্যক্ষ ধূমপানের ফলেই স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়, এ ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। নিজে ধূমপান না করলেও এর প্রভাবে ধূমপানকারীদের সংস্পর্শে থাকা অন্য ব্যক্তিরা বা পরোক্ষ ধূমপানকারীরাও মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। বিরক্তিকর ও বাজে ধোঁয়া বায়ুদূষিত করে, পানি দূষিত করে এবং পরিবেশকেও দূষিত করে। ধূমপানকারীর ঘরে অধূমপানকারী নারী, শিশু ও বৃদ্ধ থাকলে তারাও সমানভাবে নিঃশ্বাসের সঙ্গে এটি গ্রহণ করে। বিশেষ করে শিশু এবং গর্ভবতী নারীদের বেশি ক্ষতি হয়। পরোক্ষ ধূমপানের ফলে দেহের কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি ক্যানসার প্রক্রিয়া গতিশীল হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সরাসরি ধূমপানের মতোই পরোক্ষ ধূমপানের ফলে ক্ষতি বৃদ্ধি পেতে থাকে। ফলে বাড়তে থাকে ফুসফুসের ক্যানসার আক্রান্তের ঝুঁকি। তাই এটিকে গুরুত্বসহকারে নেওয়া এবং সতর্কতা অবলম্বন অত্যাবশ্যক।