ধর্ষণ ও বলাৎকার : চাই যুগোপযোগী আইন

| রবিবার , ১৩ নভেম্বর, ২০২২ at ৮:৩০ পূর্বাহ্ণ

লালসা চরিতার্থ করার জন্য ধর্ষণ ও বলাৎকার এবং প্রতিহিংসা ঘটনা বা অন্যকোন কারণে ধর্ষনের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। অনেক সময় অপহরণ করে কোথাও আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। অনেক সময় ধর্ষনের পর ভিকটিমকে হত্যা করা হবে। কেন আশংকাজনকভাবে বাড়ছে চরম অপমানকর নির্যাতন। অনেক কারণের মতো অন্যতম একটি সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের অভাব, ধর্ষণ সংঘটিত হলে ভিকটিম ও তার আত্মীয় স্বজনেরা ঘটনাটি চাপা দিতেই সচেষ্ট থাকে বেশি। ইচ্ছা থাকলেও ভোগান্তির ভয়ে থানায় যায় না। অনেকে আবার (থানায়) মামলা নিতেও অস্বীকার করে। মামলায় ভিকটিমকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষা করান না। পুলিশ আসামী ধরলেও খুব সহজে তারা কোর্ট থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়। জামিনে এসে মামলা প্রত্যাহার এর হুমকি দেয়। অনেকের বিয়ে ভেঙে যায়। অনেক স্বামী পরিত্যক্তা হয়। পারিবারিক জীবনে বীতশ্রদ্ধ হয়ে অনেকে অসামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়ে। ধর্ষণ-নারী পুরুষের জীবন নষ্ট করে দেয়। এই চরম অপমানকর ও নির্যাতন বন্ধ করতে দরকার সমন্বিত উদ্যোগ। তাই প্রয়োজন যুগোপযোগী আইন এবং কঠোর প্রয়োগ।

এম. এ. গফুর,
বলুয়ার দীঘির দক্ষিণ-পশ্চিম পাড়,
কোরবানীগঞ্জ, চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফ্রান্সিস থম্পসন : রহস্যবাদী ইংরেজ কবি
পরবর্তী নিবন্ধআহা জীবন!