ধর্ষককে দেখে ৯৯৯-এ ফোন, পরে গ্রেপ্তার তিন

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৫:০১ পূর্বাহ্ণ

তিন ধর্ষক, উপর্যুপরি ধর্ষণ করেছে ১৪ বছরের পথহারা এক কিশোরীকে। ৫ সেপ্টেম্বর ধর্ষকরা আগ্রাবাদ এলাকা থেকে তুলে নিয়ে সীতাকুণ্ড বেড়িবাঁধের একটি পরিত্যক্ত ঘরের মধ্যে রাতভর ধর্ষণ করে তাকে। লোকলজ্জায় পরিবারের কাছে মুখ খুলেনি ভিকটিম। পরে কয়েকদিনের মাথায় ভিকটিমের শারীরিক জটিলতা তৈরি হয়। গত বুধবার ভিকটিমকে ডাক্তার দেখিয়ে বাসায় ফেরার পথে ঘটনাচক্রে মনসুরাবাদ এলাকায় এক ধর্ষককে সামনে পেয়ে কিশোরীর বোন ও পরিবারের সদস্যরা মেহেদী নামের এক ধর্ষককে আটক করে ৯৯৯-এ ফোন দেয়। ফোন পেয়ে ডবলমুরিং থানার একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তথ্য মোতাবেক মনসুরাবাদ থেকে মেহেদীকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবদে ধর্ষণ ঘটনার কথা স্বীকার করে মেহেদী। পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক মনসুরাবাদ ও সীতাকুণ্ড বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে আরও দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুরো বিষয়টি এভাবে প্রকাশ করেন ডবলমুরিং থানার এসআই অর্ণব বড়ুয়া। এর আগে ভিকটিমের বোন বাদি হয়ে ডবলমুরিং থানায় একটি মামলা করেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মেহেদী হাসান ওরফে মুন্না (১৯), মো. মাকিব (২১) ও মো. হাসান তারেক রনি (৪১)। গতকাল বৃহস্পতিবার মহানগর হাকিম আদালতের তিন বিচারকের খাসকামরায় পৃথকভাবে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে তিন ধর্ষক। এসআই অর্ণব বলেন, আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে, ভিকটিমের ২২ ধারায় বক্তব্যও রেকর্ড হয়েছে আদালতে। পরে তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।’
এস আই অর্ণব বড়ুয়া বলেন, গত ৫ সেপ্টেম্বর ভিকটিম তার ভাবীর সাথে আগ্রাবাদ ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে যান। হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে বাসে উঠার সময় ভাবী গাড়িতে উঠলেও উঠতে পারেনি ভিকটিম কিশোরী। সাথে কোন টাকা ও মোবাইল ফোন ছিল না ভিকটিমের। ইতোমধ্যে আগ্রাবাদ মোড়ে এসে ভিকটিমের ভাবী বাস থেকে নেমে ভিটটিমকে খুঁজতে উল্টো হাটা শুরু করেন। এরমধ্যে ভিকটিম আগ্রাবাদ ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে থেকে হেঁটে আগ্রাবাদের দিকে যাচ্ছিলেন। আগ্রাবাদ সিএন্ডএফ টাওয়ারের সামনে গিয়ে কান্নাকাটি করলে প্রধান আসামি গাড়ি চালক মেহেদী বিষয়টি খেয়াল করে ভিকটিমকে বাসায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলে গাড়িতে তোলে। এসময় কিশোরী গাড়িতে উঠলে তাকে মনসুরাবাদ না নিয়ে সীতাকুণ্ডের বেড়িবাঁধে নিয়ে যায়। বেড়িবাঁধের একটি পরিত্যক্ত ঘরে আগে থেকে ছিল আরও দুইজন।’ এস আই অর্ণব বলেন, ‘পরিত্যক্ত ওই ঘরে রাতভর তিনজন নেশা করে আর কিশোরীকে ধর্ষণ করে। পরের দিন মেহেদী ভিকটিমকে মনসুরাবাদে নামিয়ে দিয়ে কাউকে না জানানোর জন্য ভয়ভীতি দেখায়। তবে কয়েকদিন কাউকে না বললেও শারিরীক সমস্যা শুরু হয় ভিকটিমের। পরে ঘটনাটি খুলে বলে।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধগ্রাহকরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় : টিক্যাব
পরবর্তী নিবন্ধজাপানি গাড়ির দর উঠেছে মাত্র ৪ লাখ টাকা!