দ্বিতীয় দফায় চট্টগ্রামে এলো ৩০ হাজার ৬০০ ভায়াল কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন। প্রতি ভায়াল ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে ১০জনকে। সেই হিসাবে এ চালান থেকে ভ্যাকসিন দেয়া যাবে ৩ লাখ ৬ হাজার ডোজ।
আজ শুক্রবার (৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টায় বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ফ্রিজার ভ্যানে করে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসব ভ্যাকসিন আসে। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবিরকে সঙ্গে নিয়ে এগুলো গ্রহণ করেন ভারপ্রাপ্ত জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান। বাংলানিউজ
তারপর একে একে প্রতিটি কার্টন ভ্যাকসিন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই স্টোরে ওয়াক-ইন-কুলারে (ডব্লিউআইসি) ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়।
এ সময় ভ্যাকসিন গ্রহণ কমিটি সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. জাহাংগীর, জেলা প্রশাসকের পক্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান, ওষুধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক হোসাইন মোহাম্মদ ইমরান, জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট মো. হামিদ আলী ও কোল্ড চেইন টেকনিশিয়ান (ভারপ্রাপ্ত) প্রবীর মিত্র। ভ্যাকসিন তদারকিতে ছিলেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. মো. নুরুল হায়দার, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার সুমন দেবনাথ, জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া ও জেলা ইপিআই টেকনোলজিস্ট কাজল কান্তি পাল।
ভারপ্রাপ্ত জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান বলেন, “চট্টগ্রামের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার দ্বিতীয় দফায় ৩ লাখ ৬ হাজার ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন আমরা পেয়েছি। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক নগর এলাকায় সিটি করপোরেশন ও উপজেলা পর্যায়ে ইউএনও’র তত্ত্বাবধানে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে।”
রেজিস্ট্রেশনের হিসাব মতে চাহিদা অনুযায়ী ইপিআই স্টোর থেকে সিটি করপোরেশন ও উপজেলা পর্যায়ে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই শাখায় প্রাপ্ত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন খুব সাবধানতার সঙ্গে ওয়াক-ইন-কুলারে (ডব্লিউআইসি) সংরক্ষণ করা রয়েছে।