চকলেট নিতে গিয়ে জীবন সংকটে পড়েছে পাঁচ বছরের শিশু রাফি রাইয়ান। সন্ত্রাসীদের গুলিতে ফুটো হয়ে গেছে পেট। পিঠ দিয়ে ঢুকে পেট দিয়ে বের হয়ে গেছে গুলি। কেটে ফেলতে হয়েছে ক্ষুদ্রান্ত্র ও বৃহদন্ত্রের বেশ কিছু অংশ। ঈদের আনন্দে শিশু রাফি যখন খুশিতে আত্মহারা থাকার কথা, তখন অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছে হাসপাতালের বিছানায়।
সাতকানিয়ার এওচিয়ার পশ্চিম গাটিয়াডেঙ্গা এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে শিশু রাফি। রাফি রাইয়ান পশ্চিম গাটিয়াডেঙ্গার আবদুর রহিমের পুত্র। এসএম কামরুল ইসলাম (৪৭) নামের এক সাংবাদিককে মারতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয় ওই শিশু। আহত সাংবাদিক কামরুল দি ডেইলি ইভেনিং নিউজ পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান ও এওচিয়ার পশ্চিম গাটিয়াডেঙ্গা মিয়াজির পাড়ার মৃত এম এ হাসানের পুত্র।
এলাকাবাসী জানান, কামরুল ইসলামের সঙ্গে একই এলাকার ছোট মানিকের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ঈদের পরের দিন দুপুরে কামরুল ইসলাম পশ্চিম গাটিয়াডেঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে শামসুল ইসলাম পুতুনের দোকানে বসে গল্প করছিলেন। শিশু রাফি তখন চকলেট নেয়ার জন্য ঘর থেকে দাদার দোকানে আসে। এসময় ৮–১০ জনের সন্ত্রাসী দল অস্ত্র উঁচিয়ে প্রকাশ্যে কামরুল ইসলামকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে কামরুল ও দোকানে দাঁড়িয়ে থাকা শিশু রাফি গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে ও পরবর্তীতে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করান।
সাংবাদিক কামরুলের ছোট ভাই শহীদুল ইসলাম জানান, আমার ভাই মূলত শহরে থাকে। ঈদ উপলক্ষে বাড়িতে এসেছে। সে বিভিন্ন সময়ে এলাকায় অবৈধভাবে পাহাড় কাটা ও বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতো। ফলে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ তার উপর ক্ষিপ্ত ছিল। ঘটনার দিন একা পেয়ে তারা গুলি করে ভাইকে হত্যা করতে চেয়েছিল।
সাতকানিয়ার বাসিন্দা ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান জানান, শিশু রাফি রাইয়ানের পেছন দিক থেকে গুলি ঢুকে পেট দিয়ে বের হয়ে গেছে। পুরো পেট ফুটো হয়ে গেছে। গুলিতে রাফির ক্ষুদ্রান্ত্র ও বৃহদন্ত্রের বেশ ক্ষতি হয়েছে। ফলে অস্ত্রোপচার করে ক্ষুদ্রান্ত্র ও বৃহদন্ত্রের বেশ কিছু অংশ কেটে ফেলতে হয়েছে। শিশু রাফি এখনো আশঙ্কামুক্ত নয়।
সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।












