দোঁহা–কবিতায় দর্শন যেমন স্থান পায় তেমনি সেটা পাঠককে মন্ত্রের মত আকর্ষণ করে। দোঁহা রচনা শুরু হয় চর্যাপদের কাল থেকে। এ ধারা পরে উত্তর ভারতে বিকাশ লাভ করে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে দুপুরলতা সাহিত্য পত্রিকা আয়োজিত ‘দোঁহার পূর্বাপর ও ইউসুফ মুহম্মদের দোঁহা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।
অধ্যাপক লেখক সলিমুল্লাহ খান বলেন, মানুষ যা বলে তা–ই কবিতা। তবে প্রকৃত কবিতা লেখার ক্ষেত্রে কিছু নিয়মকানুন অনুসরণ করতে হয়। ইউসুফ মুহম্মদের দোঁহা গ্রন্থে নেহাইয়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বইতে শিল্পী অভিজিৎ মুখার্জির যেসব শিল্পকর্ম মুদ্রণ করা হয়েছে তা আকর্ষণীয় ও পাঠকদের মুগ্ধ করবে নিঃসন্দেহে। তিনি আরো বলেন, উপমহাদেশে মধ্যযুগে মানুষের মধ্যে সমপ্রীতি, মানবতা ও অসামপ্রদায়িক চেতনার বিকাশ ঘটানোর জন্য কবির ও তাঁর অনুসারীরা দোঁহা রচনা করেন। তবে তাঁরা একেশ্বরবাদীও ছিলেন।
ইউসুফ মুহম্মদও একই ধারার বলে তিনি উল্লেখ করেন এবং অনাবশ্যক অন্ত্যমিল পরিহারের পরামর্শ দেন। ইউসুফ মুহম্মদ অন্তত এক হাজার দোঁহা রচনা করবেন বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং তাঁর ভালোলাগা কিছু দোঁহা পাঠ করে শুনান। আলোচনায় অংশ নেন, কবি রিজোয়ান মাহমুদ বলেন, ইউসুফ মুহম্মদের দোঁহায় ভাববাদ, ভক্তিবাদ, মরমিবাদ ও প্রেম সমান্তরাল ধারায় প্রবাহিত। অনুষ্ঠানে অনুভূতি ব্যক্ত করেন কবি ও দোঁহাকার ইউসুফ মুহম্মদ। সেমিনারের বাড়তি আকর্ষণ ছিল দোঁহা আবৃত্তি। এতে অংশ নেয় প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের সদস্যবৃন্দ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।