দৈনিক ৫০ কোটি লিটারে উন্নীত হচ্ছে ওয়াসার পানি উৎপাদন

জুনের মধ্যে বন্ধ হবে সব গভীর নলকূপ

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৫:৩৫ পূর্বাহ্ণ

১০ বছরে চট্টগ্রাম ওয়াসার পানির উৎপাদন ক্ষমতা ১৪ কোটি লিটার থেকে ৩৬ কোটি লিটারে উন্নীত হয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে ওয়াসার পানি উৎপাদন ক্ষমতা উন্নীত হবে ৫০ কোটি লিটারে। ওয়াসা কর্তৃপক্ষ মাটির নিচ থেকে পানি তোলার সবগুলো গভীর নলকূপ আগামী জুনের মধ্যে বন্ধ করে দিচ্ছে। এতে চার কোটি লিটার পানি উৎপাদন কমে যাবে। ওই সময় ওয়াসার সর্বমোট ৪৬ লিটার পানি সরবরাহ দেয়ার সক্ষমতা থাকবে। তবে নগরীর সব মানুষকে রাতে দিনে চব্বিশ ঘণ্টা পানি দিলেও ওয়াসার ৪২ কোটি লিটারের বেশি পানি লাগবে না। গতকাল সরকারের একজন সিনিয়র সচিবের সাথে মতবিনিময়কালে চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্মকর্তারা উপরোক্ত আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব ও বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হেলালুদ্দীন আহমদ গতকাল বিকেলে চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করে চট্টগ্রামের পানির সংকট দূর করার পাশাপাশি সিস্টেম লস কমানো এবং মাটির নিচ থেকে পানি ওঠানো বন্ধ করার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি চট্টগ্রাম ওয়াসার চলমান প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনা করেন।
সভায় চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি চট্টগ্রাম ওয়াসার বাস্তবায়িত ও বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোর বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন। গত ১০ বছরের উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম ফজলুল্লাহ বলেন, আগামী জুন মাসে চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি উৎপাদন ক্ষমতা ৫০কোটি লিটারে উন্নীত হবে। মাটির নিচ থেকে পানি উত্তোলনকে নিরুৎসাহিত করতে ওয়াসার বর্তমানে চলমান ৪৬টি টিউবওয়েলও বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় ওয়াসার প্রকল্প পরিচালক আরিফুল ইসলাম চট্টগ্রাম মহানগরীর পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা প্রকল্পের বিস্তাারিত উপস্থাপন করেন। সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ পানির উৎপাদন ৩৬ কোটি লিটার থেকে বাড়িয়ে ৪৬ কোটি লিটারে উন্নীত হওয়ার কথা জানতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার ও সিস্টেম লস কমিয়ে শূন্যের কোঠায় নিয়ে আনার মাধ্যমে চট্টগ্রাম ওয়াসাকে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার পরামর্শ দেন। তিনি আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে নগরীর পাশাপাশি সীতাকুণ্ড ও মীরসরাইসহ বিভিন্ন শিল্প এলাকায় পানি সরবরাহ দেয়ার ব্যাপারেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, সরকার এই নগরীতে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে যথেষ্ট আন্তরিক। তিনি সকলে মিলে সমন্বিতভাবে কাজ করার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
চট্টগ্রাম ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রশাসন) তাহেরা ফেরদৌস তাঁর বক্তব্যে চট্টগ্রাম ওয়াসা নগরবাসীকে রাতদিন চব্বিশ ঘণ্টা পানি সরবরাহ দিতে সক্ষম একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভাড়াটিয়ার মাথা ফাটিয়ে দিল বাড়িওয়ালার ছেলে
পরবর্তী নিবন্ধস্বস্তিতে টেকনাফের ভুক্তভোগীরা