খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান ‘মা মারিয়া তীর্থ উৎসব’ উদযাপিত হয়েছে। বর্ণাঢ্য আয়োজনে এ উৎসব হলেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে এবার শুধু একদিনের অনুষ্ঠান হয়েছে। উৎসবকে কেন্দ্র করে গতকাল শুক্রবার কর্ণফুলী উপজেলার দৌলতপুরে দেয়াং পাহাড়ে মা মরিয়ম আশ্রমে খ্রিস্ট সমপ্রদায়ের মানুষের মিলনমেলা বসে। সম্মিলিত খ্রিস্টযজ্ঞে অংশ নেন প্রায় দুই হাজার বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ ও শিশু।
এবারের খ্রিস্টযাগে পৌরহিত্য করেন কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি রোজারিও। বক্তব্যে তিনি কিভাবে মা মারিয়া ও যিশুকে জীবনভর সুরক্ষা দিয়েছিলেন, সেটা আমাদের মানবসমাজের কাছে একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। সাধু জোসেফ প্রচারের আড়ালে থাকা খুব সাধারণ একজন মানুষ ছিলেন। তার জীবনকর্ম আজকের বাস্তবতায় অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক। কারণ বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারীতে সাধু জোসেফের মতো সাধারণ মানুষই মানুষের প্রাণরক্ষা করেছেন। বিশ্বের মানবসমাজকে টিকিয়ে রেখেছেন। এ কারণেই মূলত পোপের চিন্তায় এবার সাধু জোসেফের বিষয়টিও এসেছে। খ্রিস্টযাগ শুরুর আগে কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি রোজারিও ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন আর্চডায়োসিসের প্রশাসক ফাদার লেনার্ড রিবেরু মা মারিয়া ও সাধু জোসেফের মূর্তিতে মুকুট ও মালা পরিয়ে বেদিতে আসেন। এরপর শুরু হওয়া খ্রিস্টযাগ সঞ্চালনা করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন আর্চডায়োসিসের ফাদার বিজয় রিবেরু।পরে কার্ডিনাল হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো দিয়াং মারিয়াম আশ্রমে আসা প্যাট্রিক ডি রোজারিওকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। কোভিডের কারণে এবার দূরদূরান্ত থেকে লোকজন আসা এবং রাতযাপনকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। শোভাযাত্রা, মোমবাতি প্রজ্বলনসহ প্রতিবছর যেসব আয়োজন, সেগুলো বাদ দিয়ে শুধু খ্রিস্টযাগের মাধ্যমে উৎসব সমাপ্ত করেছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। কারিতাসের এমসিপিপি প্রকল্পের আওতায় মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।












