বাপবেটা হাত ধরাধরি করে মহাপ্রাচীরের এই অংশের ঢাল বেয়ে নামতে নামতে, দু’দিকে তাকাতেই পড়লো চোখে নানান আকারের পাহাড় আর সবুজের সমারোহ। বা দিকে তাকিয়ে বুঝতে চেষ্টা করলাম এই এলাকায় ঢোকার মুখে যে বিরাট গেইট, টিকিট ঘর সহ বার্গার কিং জাতীয় খাবারের দোকানগুলো দেখে এসেছিলাম সেগুলোর অস্তিত্ব। কিন্তু দিককানা আমি তা বের করতে পারলাম না। আবার উল্টো দিকে মানে মহাপ্রাচিরের ডান দিকের অংশে তাকিয়েও, সবুজ গাছগাছালি, ঝোপ ঝাড়ে ঢাকা পাহাড়ের চড়াই উৎরাই ছাড়া আর কিছুই নজরে এলো না। মোট কথা হচ্ছে পায়ের নীচে মহাপ্রাচীরের হাঁটা পথকে আগলে দুপাশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা, চওড়া খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা গ্রানাইট নির্মিত রেলিং ছাড়া, যতদূর চোখ যাচ্ছে দেখছি গোটা এলাকাতেই বিরাজ করছে শান্তসৌম্য প্রাকৃতিকভাব।
আচ্ছা, মোঙ্গল পৃষ্ঠপোষকতায় চায়নার সিংহাসনে থাকা ইয়ুয়ান রাজবংশের পতনের, হান জনগোষ্ঠির মিং রাজারা ক্ষমতায় এসে মহাপ্রাচীরের এই অংশটি যখন বানিয়েছিল, তখন তারা কাদের আক্রমণের ভয়ে এটি বানিয়েছিল?
অল্পবিস্তর এ বিষয়ে যতোদূর জানি তা থেকে যা মনে করতে পারছি, সে মোতাবেক মোঙ্গলদের পুতুল ইয়ুয়ান রাজবংশের বিপরীতে এই মিং রাজারাই ছিল খাঁটি চায়নিজ রক্তের। ফলে কুবলাই চেঙ্গিস খাঁ স্থাপিত সুবিশাল মোঙ্গল সাম্রাজ্যের সাথে তাদের ছিল আদায় কাঁচকলা সম্পর্ক। এছাড়া চায়নার এই শেষ গোঁড়া চায়নিজ বলে পরিচিত মিং রাজারা ক্ষমতায় এসেওছিল মোঙ্গলদের পুতুল ইয়ুয়ান রাজাদের হারিয়েই। সেই মিং রাজারাই যেহেতু দেয়ালের এই অংশ বানিয়েছিল, সেহেতু খুব যৌক্তিকভাবে এই উপসংহার টানতে পারি যে, এখন যদিও মহপ্রাচীরের ডান দিকে যতোদূর চোখ যায় ততোদূর পর্যন্ত আজকের মহাচীনের বিস্তৃতি, তখন অবশ্যই ঐ অংশটি মোঙ্গলদেরই দখলে ছিল। কিন্তু নানান আকারের পাহাড় ঢাকা দুর্গম প্রকৃতির এ এলাকায় এখন কোনো জনবসতি চোখে পড়ছে না। তখনো যে ছিল জনবসতি তাও মনে হচ্ছে না।
এসব ভাবতে ভাবতে মহাপ্রাচীরের এখানকার ঢালটির একদম নীচু অংশে পৌঁছে, গিয়ে দাঁড়ালাম ডানদিকের রেলিঙয়ের একটি খাঁজের সামনে। জানালার মতো দেয়ালের রেলিং এর এই খাঁজ থেকে ওপাশের দিগন্তবিস্তারি পাহাড়ি এলাকায় নজর ফেলতে ফেলতে মনে হল, আজ থেকে কমপক্ষে ছয়শ বছর আগে এখানে শেষ দাঁড়িয়েছিল মিং রাজাদের কোনো সৈনিক, ওপাশের মঙ্গোলদের সম্ভাব্য কোন সন্দেহজনক গতিবিধির উপর নজর রাখার জন্য। আগেই বলেছি আবারো বলছি এখন যে রকম পাহাড় পর্বতসংকুল দুর্গম বন্ধুর দেখছি এলাকাটা, তাতে এদিক দিয়ে সেই সময়ে আক্রমণ করার সম্ভাবনা তো খুবই কম ছিল বলেই মনে হচ্ছে। কারণ ঐ সময় তো মানুষ আকাশ পথে আক্রমণের জন্য বিমান আবিষ্কার করেনি। তবে এটাও ঠিক, কোথায় যেন কবে পড়েছিলাম, তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন সেনাপতিরা নাকি শত্রুদের আক্রমণ করার জন্য সেই পথই ব্যবহার করে, যেটিকে আমার মতো সাধারণ মেধার মানুষেরা অসম্ভব মনে করে। কুবলাই চেঙ্গিস তো তাদের সাম্রাজ্য বিস্তারের সক্ষমতা দিয়ে তারা যে কোন মাপের সমরবিদ ছিলেন তা অসংখ্য মানুষের রক্তের অক্ষরে লিখে দিয়েছেন ইতিহাসে!
‘বাবা, বাবা, কি দেখছো ঐদিকে? আমরা কি আর যাবো না সামনে?’ পেছন থেকে জ্যাকেটের পিঠ টেনে ধরে একটু ঝাঁকিয়ে করা দীপ্রর প্রশ্নের উত্তরে বললাম,
হ্যাঁ যাবো আমরা ঐ যে সামনের ঘুমটি ঘরটা দেখা যাচ্ছে, ঐ পর্যন্ত। তারপর ফিরে যাবো। বুঝেছো বাবা, এখন দেয়ালের এই পাশটা চায়নার অংশ হলেও, এই ধরো ছয় সাত শ বছর আগে ওটা সম্ভবত মঙ্গোলিয়ার অংশ ছিল। আর মঙ্গোলিয়ানদের ভয়েই কিন্তু চায়নিজ মিং রাজারা গ্রেট ওয়ালের এই অংশটি বানিয়েছিল। আচ্ছা বাবা তুমি মঙ্গোলিয়ার ব্যাপারে কিছু কি জানো?
হ্যাঁ, জানি তো। জানবো না কেন? মঙ্গোলিয়া ইজ দি সেকেন্ড বিগেস্ট ল্যান্ড লকট কান্ট্রি ইন দ্য ওয়ার্ল্ড!’
এক সাথে আনন্দিত ও থতমত খেয়ে গেলাম পুত্রের এই উত্তরে। কখনোই আশা করিনি দীপ্রর কাছ থেকে এই উত্তর। সবচেয়ে বড় কথা হলো, ল্যান্ডলকট কান্ট্রি বা ভূপরিবেষ্টিত দেশ, এরকম বিশেষণে বিশেষায়িত করে কাউকে কখনো কোনো দেশের ব্যাপারে বলতে শুনিনি। একটু দম নিয়ে মগজের স্নায়ুতে নানান সময়ে জমা হওয়া নানান তথ্য ঘেঁটে ব্যাপারটি নিয়ে একটা আবছা ধারনা দাঁড় করাতেই চট করে মনে এলো আফগানিস্তানের কথা। কিন্তু এছাড়া ওইরকম আর কোনো দেশের কথা মনে করতে পারলাম না। এতে মনে হল পুত্রই আমার বরং এ ব্যাপারে যথেষ্ট জ্ঞান রাখে!
তারপরও একটু পরীক্ষা করে দেখা দরকার এই ল্যান্ড লকট ব্যাপারটা, ও কি শুধুই ইংরেজিতে যাকে বলে জারগণ মানে ভূগোল বিষয়ক পরিভাষা হিসাবেই মুখস্থ করেছে, না কি আসলেই বোঝে এ দিয়ে কী বোঝায়? ছোটবেলায় শুনেছিলাম ঢাকার বুড়িগঙ্গার তীরে বসে স্কুল বালকের ‘ঢাকা বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত’ এ বাক্য বারংবার দুলে দুলে উচ্চারণ করে মুখস্থ করার বিষয়টি। এক্ষেত্রে যেন ব্যাপারটি তা না হয়ে দাঁড়ায়। মহাপ্রাচীরের রেলিং এর কাছ থেকে সরে সপুত্রক উর্ধমুখি ঢাল বেয়ে উঠতে উঠতে জিজ্ঞেস করলাম ওকে
আচ্ছা বাবা এই ল্যান্ড লকট কান্ট্রি বিষয়টি কী?
‘মানে এই দেশ গুলোর কোনো সি পোর্ট নেই। না আসলে এই দেশগুলোর পাশে কোনো সমুদ্রই থাকে না, তাই এদের সি পোর্টও থাকে না। মঙ্গোলিয়ারও তা নেই। এর একদিকে আছে রাশিয়া অন্যদিকে চায়না’।
জবাব শুনে ভূগোলেতে গোল মার্কা জ্ঞানের অধিকারী আমার বুক এবার আসলেই গেল ফুলে! আজকাল কর্পোরেট জগতে রিভার্সলার্নিং বলে একটা কথা আছে। বড় বড় কর্পোরেট বসরা যাতে তাদের নতুন প্রজন্মের কর্মীদের হেলা করে তাদের মতামত কে উপেক্ষা করে ভুল সিদ্ধান্ত না নিয়ে বসেন, সেজন্যই ম্যানেজম্যান্ট গুরুরা এই রিভার্সলার্নিং নামের ব্যাপারটি চালু করেছেন। আজকের অতি ঘোলাটে সময়ের দ্রুতপরিবর্তনশীল পৃথিবীর হালহকিকতের খবর তো আছে এই নতুনদের কাছেই বেশি। অফিসের চার দেয়ালের মধ্যে বন্দি থেকে, এক দেশ এমনকি মহাদেশে এক মিটিং করে ভিন্ন দেশ বা মহাদেশের আরেক মিটিং ঝাঁপিয়ে পড়তে বাধ্য হওয়া বড় বড় বসদের অতো সময় কোথায় যে তারা এসবের খবর রাখবেন? যার কারণেই ম্যানেজম্যান্ট গুরুরা, এই রিভার্সলার্নিং মানে বিপরীতমুখীশিক্ষা ব্যাপারটির অবতারণা করেছেন সমাধান হিসাবে। যে কোনো কোম্পানিতেই প্রতিনিয়তই নতুন এই ডিজিটাল প্রজন্ম যোগ দিচ্ছে। ফলে তারাই তো তাদেরই পূর্ববর্তী প্রজন্মের বসদের জন্য হতে পারে চমৎকার উৎস ঐসব খবরের। এ মুহূর্তে ম্যানেজম্যান্ট গুরুদের কথা শিরোধার্য করে তাই বললাম
বাহ! বেশ তো। মঙ্গোলিয়ার এ ব্যাপারটা তো আমি জানতাম না। তুমি জানলে কিভাবে? এ ছাড়া আর কি জানো তুমি মঙ্গোলিয়া নিয়ে? বলো তো শুনি বাবা।
“ইউটিউবে দেখেছি বাবা। স্কুলের জিওগ্রাফী প্রজেক্ট করার জন্য দেখেছিলাম। মঙ্গোলিয়া অনেক বড় দেশ কিন্তু লোক খুব কম। ঠিক মনে নেই। তবে বাংলাদেশ থেকে টেন নাকি যেন টুয়েলভ টাইমস বড় হবে। কিন্তু লোক আছে মাত্র থ্রি মিলিয়ন। আর ল্যান্ড লকট হওয়াতে ওরা খুব গরীব। পোর্ট না থাকলে তো বিজনেস করা যায় না। আচ্ছা বাবা, এখান থেকে নেমে কি আমরা হোটেলে ফিরে যাবো? হোটেলে গিয়ে কিন্তু আমি ঐ অ্যাপেল স্টোরে যাবো, মনে থাকে যেন? এখন আমাকে একটু ছাড়ো’ বলেই নিজেকে আমার হস্তমুক্ত করে দিল দৌড় দীপ্র ঢাল বেয়ে উপরের দিকে।
নাহ এবার আর বাধা দিলাম না ওকে। মহাপ্রাচীরের এই ঢালটা ভুমির সাথে খুব জোর বিশ কি পঁচিশ ডিগ্রি কোণ বানিয়ে উঠে গেছে উপরের দিকে। অতএব পা হড়কে পড়ার সম্ভাবনা খুব একটা নেই। এদিকে পুত্রের পায়ের গতি জড়তা যেন বা আমারো পায়ে ভর করল। এতক্ষণ যে হেলে দুলে দুলকি চালে হাঁটছিলাম পুত্রকে পাশে পাশে রেখে, গতি গেল বেড়ে তাই নিজেরও।
জোর কদমে এগুতে এগুতে, ফের পেয়ে বসলো আমায় ঐ মঙ্গোলিয়া ভাবনাই। আগে কখনও ব্যাপারটি খেয়াল না করলেও এখন মনে হচ্ছে মঙ্গোলিয়া নামটি মাথায় আসলে বা কানে ঢুকলেই, নিজের মানস পর্দায় যে ভেসে উঠে, তা হলো পাহাড় পর্বত ঘেরা বিশাল ঘাসের প্রান্তর পেরিয়ে তলোয়ার উঁচিয়ে আগ্রাসি ভঙ্গিতে আগুয়ান সৈন্যদলই। শত হাজার ঐ সৈন্যদলের কাউকেই আমি না চিনলেও, অবশ্যই চিনি তাদের সেনাধক্ষ্যকে! নাম তার চেঙ্গিস খাঁ! কিন্তু ওরকম ছবি আমি কোথাও কখনো দেখেছি বলে মনে করতে পারছি না। তা হলে কী ছোটবেলায় আব্বার কাছে চেঙ্গিস খাঁর যে গল্প শুনেছি, তাতে নিজেই নিজ মনে ঐ ছবিটি এঁকে ফেলেছিলাম। আর সেটিই হয়ে গিয়েছিল মঙ্গোলিয়া বিষয়ক আমার বদ্ধমূল ধারনা, ছিল যা এই একটু আগ পর্যন্ত? পুত্রের কাছ থেকে একটু আগে পাওয়া মঙ্গোলিয়া বিষয়ক নতুন ধারনার ধাক্কায় তো দেখছি টালমাটাল অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে মনের ভেতরের সেই ছবিটির!
বাহ, এ তো দেখছি ব্যাপার চমৎকার! আব্বার কাছ থেকে সেই কোনো কালে শুনেছিলাম ইতিহাস আর মিথ মিশ্রিত গল্প। একটু আগে পুত্রের কাছ থেকে পেলাম একই বিষয়ে মূলত ভুপ্রাকৃতিক ও কিছুটা অর্থনৈতিক জ্ঞান। এতে নিজের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী প্রজন্মের ধারা বেয়ে যে দ্বিমুখী স্রোতের তথ্য এলো মগজে, তার সাথে একই বিষয়ে নিজের জানা অল্পবিস্তর ভূরাজনৈতিক তথ্য মিলে তো দেখছি হয়েছে আমার মঙ্গোলিয়া বিষয়ক নতুন অভিজ্ঞান!
আচ্ছা ভূপরিবেষ্টিত দেশের মানুষেরদের কি বাধ্য হয়েই দস্যুতাকেই পেশা হিসেবে নিতে হয় নাকি? প্রকৃতিগত কারণেই তারা খুব ভাল যোদ্ধা আর নৃশংস প্রকৃতির হয় নাকি? মঙ্গোলিয়া বিষয়ক আমার ঐ নতুন অভিজ্ঞানের লেজ ধরে ফের মনে এলো ভারত উপমহাদেশের প্রতিবেশি একই রকম ভূপরিবেষ্টিত দেশ আফগানিস্তানের কথা।
আবার সেটিরই লেজ ধরে কি না মনে পড়লো, ইংরেজি সাইজ ডাজ নট ম্যাটার বলে যে একটা কথা আছে, তা। যার কারণ অতি সরল ও সোজা। এশিয়া মহাদেশের এদিকটায় যেমন জনসংখ্যার বিচারে পুঁচকে মঙ্গোলরা বিশাল জনগোষ্ঠীর চায়নিজদের নাকানি চুবানি খাইয়েছে শত শত বছর ধরে; তেমনি এশিয়ারই অন্যদিকে পুঁচকে জনসংখ্যার আফগানদের বাদশাহ আহমেদ শাহ দুররানিও ভারতের মোগল আর মারঠা সাম্রজ্যের ভিত নাড়িয়ে দিয়ে বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিল একসময়। অবশ্য এ ঘটনা যে শুধু সেই প্রাচীন কালেই ঘটতো তা তো না। হাল আমলে মানে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপিয়ান বিশেষত ব্রিটিশদের চালে পয়দা হওয়া রাষ্ট্র পিচ্চি ইসরাইলও গোটা মধ্যপ্রাচ্যকে এই একবিংশ শতাব্দীতেও নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরাচ্ছে অহরহ! এমনকি একসময় যেমন পিচ্চি মঙ্গোলিয়া বিশাল হান জনগোষ্ঠির চায়নাকে, তাদেরই হাতের পুতুল ইউয়ান রাজাদের দিয়ে চায়নাকে শাসন করিয়েছে শত শত বছর, তেমনি ইদানীং ইসরাইলও মধ্যপ্রাচ্যের নানান দেশের মধ্যযুগীয় রাজাদের নিজেদের তাবেদার বানিয়ে নিচ্ছে একে একে। অন্যদিকে জ্ঞানবিজ্ঞানের তোয়াক্কা না করা ঐসব দেশের পেট্রোডলারের তেল জবজবে জনগণ আছে মত্ত আমোদ প্রমোদে আর বিলাস ব্যসনে। তবে সবচেয়ে হাস্যকর হলো মধ্যপ্রাচ্য থেকে বহুদূরে থাকা বঙ্গসন্তানদের একটা বিরাট অংশ যারা নাকি নিজেদের মধ্যপ্রাচ্যের মুসলমানদের নিজেদের ভাই বলে তিড়িং বিড়িং নাচে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মতো, তারা কিনা মাঝখান থেকে অহোরাত্রি ইসরাইলের ধবংস কামনায় আছে অলৌকিকত্বের অপেক্ষায়!
‘বাবা, বাবা আমার ব্যাগটা থেকে পানির বোতলটা একটু বের করে দাও না’ মহাপ্রাচীরের উৎরাই অংশের এই ঢালের একদম মাথার দিকটায় এসে দাঁড়িয়ে এতক্ষণ দৌড়ানোর জেরে হাফাতে থাকা দীপ্রর কাছে পৌঁছুতেই বলল সে।
লেখক: ভ্রমণ সাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক।