সাংস্কৃতিক চিড়িয়াখানা
ব্যাপার হচ্ছে সিগিরিয়ার পাথুরে পাহাড়ের প্রাসাদে প্রথমবার উঠতে না পারলেও তেমন কোনও ক্ষতি সাধিত হয়নি, যেহেতু ওখানে আমার একাধিক বার যাবার সুযোগ হয়েছিল এবং গিয়েওছিলাম। কর্মপোলক্ষ্যে সে সময় একটানা যেহেতু দুই বছর থাকতে হয়েছিল তখন শ্রীলংকায়, অনেকবারের মধ্যে দ্বিতীয়বার গিয়ে ঠিকই উঠেছিলাম সেই উঁচু রক প্যালেসে। কিন্তু এখানে মানে চীনে দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার আসার সম্ভাবনা থাকলেও, মহাপ্রাচির দেখার সুযোগ যে দ্বিতীয়বার করতে পারবো তার তো কোনও ঠিক ঠিকানা নেই।
আসলে এ পর্যন্ত বেশির ভাগ ভ্রমণই তো আমার হয়েছে দাপ্তরিক প্রয়োজনে। কোম্পানি থেকে করা ঐসব ভ্রমণের মূল লক্ষতো ছিল দাপ্তরিক উদ্দেশ্যপূরণ। ফলে ঐসব ভ্রমণের স্থান নির্বাচন থেকে শুরু করে যাবতীয় কিছুর পরিকল্পনাতেই থাকে দাপ্তরিক উদ্দেশ্য পূরণের ছাপ। এই যেমন চায়নার মূলভূমি মানে মেইনল্যান্ডে নিজের এটি দ্বিতীয় এবং এক্কেবারে পারিবারিক প্রথম ভ্রমণ হলেও নিজের প্রথম চায়না ভ্রমণটি যে প্রদেশের যে শহরে হয়েছিল সেটির ত্রিসীমানায় ছিল না মহাপ্রাচীর। তাই চায়না ভ্রমণের আমার সেই প্রথম সফরের লিস্টিতে মহাপ্রাচীর তো ছিলই না।
আচ্ছা, দাপ্তরিক প্রয়োজনে চায়নায় প্রথম পা রেখেছিলাম ঐ যে হাইনান প্রদেশে, সেটি কি আসলেই চায়নার মূলভূমির অংশ, নাকি? ভৌগোলিক ব্যাখায় তো সেটি হল দক্ষিণ চায়না সমুদ্রে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা দুইশরও বেশি দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠা চায়নার সবচেয়ে ছোট প্রদেশ, যেটি নাকি চমৎকার সব বীচ থাকার কারণে চায়নার হাওয়াই নামে পরিচিত। অবশ্য মানব সভ্যতার ইতিহাসে নানান সময়েই তো দেশ বা রাজ্যের সংজ্ঞা পাল্টেছে যতো না ভৌগলিক বা সাংস্কৃতিক কারণে, তারচে বেশি বদলেছে অস্ত্রের ঝনঝানিতে আর রাজনৈতিক কারণে।
সে যাক, চমৎকার সব বীচসমৃদ্ধ দক্ষিণ চায়না সমুদ্রের মধ্যে সবুজ টিপ হয়ে থাকা অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার হাইনানের কিন্তু আমেরিকান হাওয়াইয়ের ঐ ভৌগলিক মিল ছাড়াও আরো একটি মিল আছে। তা হলো, হাওয়াইতে যেমন পলিনেশিয়ান আদিবাসীরা আধুনিক সভ্যতার ধাক্কা সামলে এখনো বেঁচে বর্তে আছেন ধুঁকে ধুঁকে; না আসলে বলা উচিৎ ভ্রমণ ব্যবসার পালে জোর হাওয়া লাগানোর জন্য, আমেরিকান পুঁজির অধীশ্বরেরা ঐখানে যেমন পলিনেশিয়ানদের ও তাদের সংস্কৃতিকে লাইফ সাপোর্টে তুলে প্রচুর পরিমাণে কৃত্রিম অঙিজেন যোগান দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে কোনো মতে, একই রকমভাবে হাইনানেও লাই নামের আদিবাসি গোষ্ঠীকেও ঐভাবেই বাঁচিয়ে রেখেছে চায়না, তাও সেই ব্যবসায়িক প্রয়োজনেই।
সেবার হাইনানের সেই লি নাকি লাই আদিবাসিদের গ্রাম দেখতে যাওয়ার জন্য সেখানেও চড়তে হয়েছিল বেশ উঁচু একটা পাহাড়ে। নদীবাহিত পলিমাটির বদ্বীপের সমতল ভূমির এই বঙ্গসন্তানের পাহাড় ডিঙ্গানোর সক্ষমতা তো ছিলই না রক্তে বা জীনে। পাহাড় তো নয় যৎসামান্য টিলায় উঠার যে অভিজ্ঞতা জমা আছে নিজ ভাণ্ডারে, সেসবওতো হল বহুদূরে পেছনে ফেলে আসা বাল্য আর কৈশোরে চট্টগ্রামে খালার বাসায় বেড়াতে গিয়ে, টিলায় চড়ার অভিজ্ঞতা। তারপরও সেদিন, মানে আজ থেকে যুগাধিককাল বছরেরও বেশি সময় আগে যখন গিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম হাইনানের সেই পাহাড়ের পাদদেশে, ভেবেছিলাম সুদূরের সেই টিলা অভিযানের অভিজ্ঞতা নিয়ে অনায়াসে উঠতে পারবো তাতে। ওখানে সেদিন আক্রাদামের টিকিট কেটে কেবলকারে করে উপরে ওঠার বদলে ভেবেছিলাম উঠবো পায়ে হেঁটেই। আমার সেসময়ের সেই ইচ্ছাটির পেছনে, পায়ে হেঁটে যৌবনে পাহাড় ডিঙানোর চ্যালেঞ্জ নেবার কারণের চেয়ে বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল পকেটের ডলার বাঁচানো। নিজে বাদে ভ্রমণ সঙ্গী তো ছিলেন একাধিক। সকলের টিকিট ঐরকম আক্রাদামে কাটতে গেলে তো অনেকগুলো ডলার হয়ে যাবে হাওয়া।
হ্যাঁ, হাইনানে অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে যোগ দিতে যাওয়া সেই ভ্রমণে দেশ থেকে আমার সঙ্গী হয়ে গিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন খ্যাতনামা চিকিৎসকও। পায়ে হেঁটে পাহাড়ে ওঠার আমার সেই পরিকল্পনায় তাঁরা তাদের নিজেদের বয়সের দোহাই দিয়ে মৃদু আপত্তি জানিয়েও ছিলেন। জবাবে নিজ পকেটের বেশকিছু কড়কড়ে ডলার গচ্ছা ভয়টিকে সুকৌশলে হাসিমুখে চাপা দিয়ে, আমাদের দলের চোখের সামনে সত্তরোর্ধ বয়সের এক ইউরোপিয়ান দম্পতির দৃপ্ত পদক্ষেপে সেই পাহাড়ে দিক এগিয়ে যাওয়ার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে যখন বলেছিলাম, ওরা পারলে আমার পারবো না কেন? তাতে আর কেউ রা করেননি।
তবে অচিরেই নগদ ডলার বাঁচানোর নিজের সেই চালিয়াতির ফলাফল টের পেয়েছিলাম, হাতে হাতে না এক্কেবারে সমস্ত শরীরে গতরে। দেড় নাকি দুই হাজার ফুট উঁচু সেই পাহাড়ে উঠতে গিয়ে আক্ষরিক অর্থেই নিজেরই দেড় হাত জিভ বের হয়ে পড়ার যোগাড় হয়েছিল বেশ কবারই। আর সঙ্গীদের অবস্থা তো হয়েছিল আরো ভয়াবহ! কপাল ভালো চায়নিজ ব্যাবসায়িক বুদ্ধির কারণে ঐ পাহাড়িপথের নানান বাঁকে বাঁকে, পানি, ডাব, চা কফি খেয়ে সামান্য বিশ্রাম নেবার সুযোগ থাকায় সে সব জায়গায় থেমে থেমে শেষ পর্যন্ত গোটা দলকে নিয়ে উঠতে পেরেছিলাম সেই তথাকথিত আদিবাসি গ্রাম সমৃদ্ধ পাহাড়ের উপরে।
সারাক্ষণ সবাইকে উজ্জীবিত করে তাদের নিয়ে পায়ে হেঁটে সেই পাহাড়ে উঠতে পারায় তুমুল আনন্দিত হয়েছিলাম সেদিন। উপরন্তু সাথে যোগ হয়েছিল ডলার বাঁচানোর অপার আনন্দও। তবে জীবনের সকল আনন্দই ক্ষণস্থায়ী, এ নিয়মটির স্বতঃসিদ্ধতা প্রমাণ করে সে আনন্দও হয়ে উঠেছিল ঐ পদ্মপেত্র নীরের মতোই। পাহাড়ের উপরের তথাকথিত আদিবাসী গ্রামে গিয়ে তুমুল হতাশ ও বিরক্ত হয়েছিলাম। অবশ্য সেই হতাশাটি টের পাচ্ছিলাম উপরে উঠতে উঠতেই। আমাদের সেই ঊর্র্ধ্বযাত্রাটির নানা সময়ে নানা গাছ আর ঝোপঝাড় থেকে, হঠাৎ হঠাৎ মানবকণ্ঠে করা কু কু, কিচির মিচির, ইত্যাকার নানা সব জন্তু জানোয়ারের নকল কলকাকলিতে উৎকর্ণ হয়ে, শব্দের উৎসের খোঁজে তাকিয়ে দেখতে পেয়েছিলাম, গাছের নানান ডালে, ঝোপে বসে থাকা কালিঝুলি মাখা অর্ধ নগ্ন পৌনে নগ্ন নারী ও পুরুষ। যারা কি না আদিবাসির ভান ধরলেও ভালই চিনতে পারছিল ডলার আর রেন মেন বি!
উপরে উঠে তথাকথিত গ্রামের মধ্য দিয়ে হাঁটতে গিয়ে ওদের ঘরদোর দেখে আর কালিঝুলি মেখে হঠাৎ হঠাৎ কিচির মিচির আর ক্যু ক্যু শব্দ করে ওঠা দেখে পরিষ্কার বুঝতে পারছিলাম, পুরো ব্যাপারটাই সাজানো ও বিকৃত। ট্যুরিস্টদের পকেটের ডলার কেটে বের করার জন্যই করা হয়েছে এই ব্যবস্থা। ওটা আসলে সত্যি কোন আদিবাসী গ্রাম ছিল না। ছিল ওটা বলে চলে একটা সাংস্কৃতিক চিড়িয়াখানাই মাত্র। তবে কথা হচ্ছে চিড়িয়াখানায় তো বন থেকে ধরে আসল চিড়িয়া এনে পুড়ে রাখা হয় খাঁচায়, কিন্তু ওখানে যারা আদিবাসির ভড়ং ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছিল অর্ধনগ্ন পৌনে নগ্ন হয়ে তারা আসলেই আদিবাসী কী না সন্দেহ ছিল প্রচুর, তা নিয়ে।
একযুগেরও বেশি সময় আগে চায়নার হাইনানের সেই সাংস্কৃতিক চিড়িয়াখানাটির কথাটি এ মুহূর্তে মনে পড়তেই মন হলো; সেদিন আমি যতোই মনে মনে রাগ করে থাকি না কেন ঐসব দরিদ্র লোকগুলোর ভড়ং ধরা আদিবাসী সাজের কারণে, এখন মনে হচ্ছে পৃথিবীতে আমাদের সকলের ভুমিকাই আসলে চিড়িয়ারই।
ভোগবাদী পূঁজির অপ্রতিরোধ্য বিস্তারে তুমুল সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষই তো পরিণত হয়েছে কবেই একেকটা চিড়িয়ায়। আদিকালে মানুষের বিশ্বাস ছিল মানুষ হল নিয়তির ক্রীড়নক, আছে যার বিবরণ গ্রীক, ভারতীয় আর নানান জনগোষ্ঠির প্রাচীন পুরানে পুথিতে। তার বিপরীতে আজতো গোটা মানবজাতিই পরিণত হয়েছে পূঁজির ক্রীড়নকে ! আর সেদিক দিয়ে বিচার করলে, আধুনিক সভ্যতার মানুষ বলে বড়াই করা আমরা আছি আসলে শাখের করাতে। কারণ পূঁজি কিন্তু অত্যন্ত সুকৌশলে সেই প্রাচীন মানুষের নিয়তি ভাবনা ও বিশ্বাসকেও পূঁজি করেছে, অত্যন্ত কার্যকরভাবে নিজের অবস্থান সুসংহত করার জন্য।
‘বরফ, বরফ, বাবা, বাবা ঐ যে বরফ! একটু গাড়িটা থামাতে বল না আংকেলকে’ পিছনে হঠাৎ দীপ্রর গলার তুমুল হৈ চৈ এ আমি বা লি খাঁই শুধু নয়, গোটা গাড়িটাই চমকে উঠতেই, স্বয়ংক্রিয়ভাবে একবার পিছু তাকাতেই, বাইরের দিকে আঙ্গুল নির্দেশ করে দীপ্র ফের গাড়ি থামানোর জোর দাবী জানাতেই, জানালার কাচ গলে চোখ গিয়ে পড়লো রাস্তার ধারের এবং দূরের নানান গাছের নীচে এবং ছোটখাট নানান গর্তে ও নানান জায়গায় যে সাদা সাদা রঙয়ের উপর।
হাইনানের পাহাড় চড়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে মন এতক্ষণ ব্যস্ত থাকায়, এর মধ্যে উইন্ডস্ক্রীন আর পাশ জানালা পেরিয়ে বেশ কয়েকবারই ঐ সাদা রঙয়ের উপর চোখ পড়লেও, কেন না জানি অবচেতন এবং সচেতন মন সেইসব সাদা রঙয়ের সমাহারকে, লেপটে থাকা চুন মনে করে উপেক্ষা করেই আসছিল।
এদিকে এরই মধ্যে দীপ্রর সাথে যোগ হয়েছে গাড়ি থামানোর ব্যাপারে অভ্ররও জোর দাবী। অতএব কালবিলম্ব না করে মুখে ‘স্টপ’ বলার সাথে, হাতের ইশারায় লি খাঁকে গাড়ি থামাতে বলতেই, কিছুটা অবাক হয়ে সে এই বাঙালের চোখে তার চায়নিজ চোখজোড়া এক পলকের জন্য নিবদ্ধ করেই ‘ওকে ওকে’ বলে গাড়ির গতি কমাতে কমাতে, রাস্তার পাশে বেশ চওড়া মতো একটা জায়গায় এসে তার পছন্দ মতো একটা জায়গায় গাড়ি থামালো।
গাড়ি থমাতেই ঝটপট নিজে তা থেকে নেমে, পেছনে অস্থির হয়ে থাকা পুত্রদের নামার জন্য গেট খুলে ধরতেই ওরা হুড়মুড় করে নেমে, রাস্তার ওপাশের একটা গাছের নীচে জমে থাকা জমাট বরফের দিকে দৌড় দেবার আগেই দ্রুত ধরে ফেললাম দুজনকেই।
এটা কি ঠিক হচ্ছে বাবা? বুঝলাম বরফ দেখে তোমরা খুব উতলা হয়ে আছ। কিন্তু তা কী? কোনো দিকে না তাকিয়ে এভাবে রাস্তা পার হওয়া কি ঠিক?
থমকে গিয়ে উত্তরে ‘সরি বাবা, সরি’ বলার সাথে দুজনের মাথা নীচু করে ফেলার অপরাধীভঙ্গিটি দেখে বড়ই মায়া লাগলো। ভাবলাম, শিশুসুলভ বা বালসুলভভাবে তুমুল অবাক হয়ে প্রবল চঞ্চল হয়ে ওঠার ক্ষমতাটুকুইতো এই বয়সের বিরাট সম্পদ। দুজনকে দু হাতে ধরে রাস্তার দু দিকেই না শুধু চারদিকটা দ্রুত জরীপ করে, গাড়িশূন্য ও জনশূন্য রাস্তাটি পার করিয়ে দিলাম ছেড়ে দুজনকেই।
চকিতে জ্যা মুক্ত তীরের মতো দুজনেই ছুটে গেল তাড়া রাস্তার পাশের বড় একটা গাছের গোড়ার দিকটায় চারদিকে তিন চার ফুট জায়গা জুড়ে থাকা দুধসাদা বরফের দিকে।
‘ওহ এগুলো তো নিতে পারছি না। বাবা, বাবা একটু তুলে দাও না বরফ আমাকে’। দীপ্রর এই অনুনয়ে সেই বরফের দিকে এগিয়ে গিয়ে, নিজেও সেই বরফ হাতে তুলতে গিয়ে বুঝলাম, এগুলো পেঁজা পেঁজা, তুলোর মতো কোনো ছাড়া ছাড়া বরফ না। রাতের কোনো সময়ে আকাশ থেকে এরা পেঁজা পেঁজা তুলোর মতো হয়ে নেমে আসলেও, এই গাছের নীচে জমা হয়ে সময়ে সব জমাট বেঁধে এক্কেবারে বরফের চাই হয়ে গেছে। তারপরও কিছুক্ষণ ধরে নিজের হাতের জোরের সাথে আঙ্গুলের নানান কসরতে বেশ খানিকটা বরফ গুড়া সহ ছোটবড় টুকরা বরফে মুঠো ভর্তি হতেই, ভাগাভাগি করে দু পুত্রের হাতে তা তুলে দিতেই, মহা উল্লাসে হাসতে হাসতে দুজন দুজনের দিকে নিজ নিজ হস্তগত বরফ ছুড়তেই রাগে দাঁত কিড়মিড় করে দীপ্র দৌড়ে গিয়ে অভ্রকে আক্রমণ করতে চাইল। এইমাত্র দেখা দেয়া ওদের তুমুল হরিষে এই হঠাৎ ক্রোধের অনুপ্রবেশে কিছুটা হতভম্বই হয়ে গেলাম। দ্রুত এগিয়ে গিয়ে দীপ্রকে আটকে বেশ বিরক্তিতে জিজ্ঞেস করলাম- কী ব্যাপার দীপ্র ! এ কেমন কথা? মজা করতে করতে এরকম রেগে গেলে কেন? ‘দেখো না বাবা, এই ছেলেটা এত্ত বড় একটা বরফ ছুড়ে মেরেছে এইখানে, এই যে কপালে!’ ‘তুমিও তো আমাকে মেরেছো বরফ। আমি কি রাগ করেছি নাকি’ অভ্রর উত্তর- ‘আমি তো তোকে গুড়া বরফ মেরেছিলাম। তুই তো আমাকে এত্ত বড় একটা বরফ মেরেছিস। যদি ওটা চোখে লাগতো?’
লেখক : ভ্রমণ সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক