দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ আছে, সবাই অংশ নেবে : আইনমন্ত্রী রাঙামাটিতে সিজেএম আদালত ভবনের উদ্বোধন রাঙামাটি প্রতিনিধি পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে নবনির্মিত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালত ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকাল ৪টায় প্রধান অতিথি হিসেবে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সঙ্গে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আদালত ভবনের উদ্বোধন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি। এ সময় আইনমন্ত্রী বলেন, জিয়া, এরশাদ, খালেদার আমলের সবগুলো যোগ করলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সময়কালের উন্নয়নের সমান হবে না। এটি নিছক আমার মুখের কথা হয়, উন্নয়ন তথ্য ও পরিসংখ্যান তাই বলে। বিএনপি-জামাত ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সাড়ে সাত বছরে আইন ও বিচার বিভাগের জন্য ব্যয় করেছে মাত্র ১৬৫০ কোটি টাকা, এর মধ্যে উন্নয়ন ব্যয় ছিল মাত্র ২৫৩ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আইন ও বিচার বিভাগের জন্য প্রতি বছরে গড়ে প্রায় ১৬৫০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে আর উন্নয়ন বরাদ্দ দিয়েছে ৪৩৬ কোটি টাকা। এ সময় আগামী নির্বাচন নিয়ে সরকারের অবস্থান কী- গণমাধ্যমকর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, সরকারের অবস্থান বড় কথা নয়, কমিশনের সঙ্গে দলগুলোর সংলাপ হচ্ছে। এ সংলাপের পর নির্বাচন কমিশন কী বলবে সেটা শোনার জন্য আমরা অপেক্ষা করব। তিনি বলেন, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ আছে। সবাই এ নির্বাচনে অংশ নেবে বলে আমি আশা করি। চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের উদ্বোধনের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আজকে বিচার বিভাগের জন্য একটি অত্যন্ত শুভক্ষণ। ২০০৭ সালে বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক করা হয়। কিন্তু সেটি কিছুটা কাগজে পৃথকীকরণের মতোই ছিল। আদালত চালানোর জন্য যে ভৌত-কাঠামো দরকার সেগুলো তখন ছিল না। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভৌত-অবকাঠামো নির্মাণে প্রকল্প হাতে নেয় জানিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ৩৩টি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ভবন নির্মাণ করা হয়েছে, হস্তান্তর করা হয়েছে এবং সেখানে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রাঙামাটিতে আমরা ৩৪তম চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন উদ্বোধন করতে যাচ্ছি। আমরা আশা করছি, আগামী বছরের মধ্যে বাকী জেলার কাজ সমাপ্ত হবে, এর মধ্যে খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলাও আছে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটি আসনের সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, ৬৪ জেলা সদরে সিজেএম আদালত ভবন নির্মাণ প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়ক ও যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা, রাঙামাটি জেলা ও দায়রা জজ মো. নুরুল ইসলাম, রাঙামাটির চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ফারুক, গণপূর্ত রাঙামাটি সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী একিউএম শাহজালাল মজুমদার, রাঙামাটি জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোখতার আহম্মদ, সাধারণ সম্পাদক রাজীব চাকমা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার। রাঙামাটি গণপূর্ত বিভাগের বাস্তবায়নে নবনির্মিত পাঁচ তলা বিশিষ্ট আদালত ভবনে ১৩টি এজলাস রয়েছে। যেখানে আদালতের বিচারকার্য অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া এই ভবনে কনফারেন্স রুম, জেলা লিগ্যাল এইড অফিস, বিচারকদের চেম্বার, খাস কামরা, মালখানা, ওয়েটিং রুম, ফিডিং রুমসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কক্ষ রয়েছে। ভবনে দুইটি লিফট রয়েছে। আদালত ভবন নির্মাণে ২০ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। রাঙামাটিসহ এ পর্যন্ত সারাদেশে মোট ৩৪টি নতুন সিজেএম আদালতের উদ্বোধন করা হলো। নতুন আদালত ভবন উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এজলাস সংকট নিরসন, দাপ্তরিক কাজের সুবিধাসহ পূর্ণাঙ্গ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় বিচারপ্রার্থীদের ন্যায় বিচার পাওয়া আরও সহজতর হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

রাঙামাটিতে সিজেএম আদালত ভবনের উদ্বোধন

রাঙামাটি প্রতিনিধি | সোমবার , ২৫ জুলাই, ২০২২ at ৪:৩৪ পূর্বাহ্ণ

পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে নবনির্মিত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালত ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকাল ৪টায় প্রধান অতিথি হিসেবে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সঙ্গে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আদালত ভবনের উদ্বোধন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি। এ সময় আইনমন্ত্রী বলেন, জিয়া, এরশাদ, খালেদার আমলের সবগুলো যোগ করলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সময়কালের উন্নয়নের সমান হবে না। এটি নিছক আমার মুখের কথা হয়, উন্নয়ন তথ্য ও পরিসংখ্যান তাই বলে। বিএনপি-জামাত ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সাড়ে সাত বছরে আইন ও বিচার বিভাগের জন্য ব্যয় করেছে মাত্র ১৬৫০ কোটি টাকা, এর মধ্যে উন্নয়ন ব্যয় ছিল মাত্র ২৫৩ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আইন ও বিচার বিভাগের জন্য প্রতি বছরে গড়ে প্রায় ১৬৫০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে আর উন্নয়ন বরাদ্দ দিয়েছে ৪৩৬ কোটি টাকা।
এ সময় আগামী নির্বাচন নিয়ে সরকারের অবস্থান কী- গণমাধ্যমকর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, সরকারের অবস্থান বড় কথা নয়, কমিশনের সঙ্গে দলগুলোর সংলাপ হচ্ছে। এ সংলাপের পর নির্বাচন কমিশন কী বলবে সেটা শোনার জন্য আমরা অপেক্ষা করব। তিনি বলেন, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ আছে। সবাই এ নির্বাচনে অংশ নেবে বলে আমি আশা করি।
চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের উদ্বোধনের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আজকে বিচার বিভাগের জন্য একটি অত্যন্ত শুভক্ষণ। ২০০৭ সালে বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক করা হয়। কিন্তু সেটি কিছুটা কাগজে পৃথকীকরণের মতোই ছিল। আদালত চালানোর জন্য যে ভৌত-কাঠামো দরকার সেগুলো তখন ছিল না।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভৌত-অবকাঠামো নির্মাণে প্রকল্প হাতে নেয় জানিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ৩৩টি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ভবন নির্মাণ করা হয়েছে, হস্তান্তর করা হয়েছে এবং সেখানে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রাঙামাটিতে আমরা ৩৪তম চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন উদ্বোধন করতে যাচ্ছি। আমরা আশা করছি, আগামী বছরের মধ্যে বাকী জেলার কাজ সমাপ্ত হবে, এর মধ্যে খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলাও আছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটি আসনের সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, ৬৪ জেলা সদরে সিজেএম আদালত ভবন নির্মাণ প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়ক ও যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা, রাঙামাটি জেলা ও দায়রা জজ মো. নুরুল ইসলাম, রাঙামাটির চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ফারুক, গণপূর্ত রাঙামাটি সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী একিউএম শাহজালাল মজুমদার, রাঙামাটি জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোখতার আহম্মদ, সাধারণ সম্পাদক রাজীব চাকমা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।
রাঙামাটি গণপূর্ত বিভাগের বাস্তবায়নে নবনির্মিত পাঁচ তলা বিশিষ্ট আদালত ভবনে ১৩টি এজলাস রয়েছে। যেখানে আদালতের বিচারকার্য অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া এই ভবনে কনফারেন্স রুম, জেলা লিগ্যাল এইড অফিস, বিচারকদের চেম্বার, খাস কামরা, মালখানা, ওয়েটিং রুম, ফিডিং রুমসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কক্ষ রয়েছে। ভবনে দুইটি লিফট রয়েছে। আদালত ভবন নির্মাণে ২০ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। রাঙামাটিসহ এ পর্যন্ত সারাদেশে মোট ৩৪টি নতুন সিজেএম আদালতের উদ্বোধন করা হলো।
নতুন আদালত ভবন উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এজলাস সংকট নিরসন, দাপ্তরিক কাজের সুবিধাসহ পূর্ণাঙ্গ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় বিচারপ্রার্থীদের ন্যায় বিচার পাওয়া আরও সহজতর হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভয় ডরহীন ক্রিকেটই অধিনায়ক সোহানের মূলমন্ত্র
পরবর্তী নিবন্ধফ্রেন্ডস ক্লাব ও কিষোয়ান স্পোর্টসের শুভসূচনা