দেশে ছয় মাসের বেশি সময় পর দৈনিক শনাক্ত রোগীর হার ৬ শতাংশের নিচে নেমেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩১ হাজার ১৪৯টি নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৮৬২ জনের করোনভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাতে নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়াচ্ছে ৫ দশমিক ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
এর আগে গত ১১ মার্চ দৈনিক শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ ছিল। সে হিসেবে ২৭ সপ্তাহ পর তা আবার ৬ শতাংশের নিচে নেমেছে। বিডিনিউজ
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে কোভিডে আক্রান্তদের মধ্যে গত এক দিনে আরও ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ২০৩ জনে। আর তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ১০৯ জনের।
গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আগের ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৯০১ জন নতুন রোগী শনাক্ত এবং ৫১ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল। সে হিসেবে গত এক দিনে শনাক্ত রোগী কমলেও মৃত্যু অপরিবর্তিত রয়েছে।
গত এক দিনে শুধু ঢাকা বিভাগেই ১ হাজার ১৩৫ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে যা দিনের মোট আক্রান্তের দুই তৃতীয়াংশের বেশি।
যে ৫১ জন গত এক দিনে মারা গেছেন, তাদের ২৯ জনই ছিলেন ঢাকা বিভাগের। চট্টগ্রাম বিভাগে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সরকারি হিসাবে, দেশে কোভিড আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩ হাজার ৫৪৯ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট ১৪ লাখ ৯৪ হাজার ৯০ জন সেরে উঠলেন।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৪৬ লাখ ৫৯ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ২২ কোটি ৬৩ লাখের বেশি রোগী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে সারা দেশে মোট ৩১ হাজার ১৬৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৯৩ লাখ ৬৩ হাজার ৬০৯টি নমুনা।
এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ; মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
গত একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ২৯ এবং চট্টগ্রাম বিভাগের ৮ জন বাদে রাজশাহী বিভাগের ৪ জন, খুলনা বিভাগের ৬ জন, বরিশাল বিভাগের ৩ জন ও ১ জন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন জন।
মৃত ২৮ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ১৪ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৩ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে,১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল।
এই ৫১ জনের মধ্যে ২৫ জন ছিলেন পুরুষ, আর ২৬ জন নারী। তাদের মধ্যে ৪১ জন সরকারি হাসপাতালে এবং ১০ জন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
