বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশে–বিদেশে কেউ আর এই সরকারের পাশে নেই। ভোট চুরির প্রকল্প এই সরকারের একমাত্র ভরসা। আপনারা তাই চোখ–কান খোলা রাখবেন। কারা এই ভোট চুরি প্রকল্পে জড়িত তাদের নাম তালিকাভুক্ত করে রাখবেন। বিএনপির বিভাগীয় রোডমার্চ উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুর শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। খবর বাংলানিউজের।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, রাস্তা–ঘাটে যেখানেই যাই সবাই জানতে চায় এই সরকার আর কয়দিন আছে? সবার প্রত্যাশা এই সরকার কবে যাবে? বিশ্বের যত দেশ আছে, যত গণতন্ত্রের সংগঠন আছে, যত গণঅধিকার সংগঠন আছে তারাও সিদ্ধান্ত দিয়ে দিয়েছে। এই সরকারের সঙ্গে কেউ নেই। দেশেও নেই, বিদেশেও নেই। তাই ভোট চুরির প্রকল্প শেখ হাসিনার একমাত্র ভরসা। তার এই প্রজেক্টে আছে কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, দুর্বৃত্ত ব্যবসায়ী। এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। জীবনের বিনিময়ে হলেও এদের প্রতিরোধ করতে হবে।
তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এদেশে এসে ঘুরে গেছে। তারা বলেছেন এখানে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। তাই তারা নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবেন না। বিদেশিরা যেটা বলেছেন তার সঙ্গে আমাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি পুরো মিলে গেছে। ভিসানীতিতে তাদের কম্পন শুরু হয়ে গেছে। এখন ওপর দিয়ে তারা গলাবাজি করছেন। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা ভোট চুরির সঙ্গে থাকবেন তাদের কেউই ভিসানীতি থেকে বাদ যাবেন না। বিচারপতি এমনকি যেসব গণমাধ্যম এই সরকারের ভোট চুরির সঙ্গে থাকবেন তারাও এই ভিসানীতির আওতায় পড়বেন। তারা সবাই বাংলাদেশের শক্র।
তিনি আরও বলেন, দুনিয়াতে কোনো ফ্যাসিস্ট সরকার শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। তাদের রাস্তায় নেমে হটাতে হবে। আমরা এখনও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করছি। যদি কোনো অপশক্তি নামিয়ে আমাদের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয় তখন প্রতিরোধ করবো। প্রতিরোধ করা ছাড়া আমরা আমাদের অধিকার ফিরে পাবো না। জীবন দিয়ে আমাদের জয়লাভ করতে হবে।
সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির এক দফা দাবিতে সারা দেশের বিভাগীয় রোড মার্চের অংশ হিসেবে সকাল ১১টার দিকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ থেকে এ রোড মার্চ অনুষ্ঠিত হয়। পথিমধ্যে বসন্তপুর এলাকায় সমাবেশ করে ফরিদপুরে পৌঁছে রোড মার্চ।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুকের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শাহজাদা মিয়া, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোদাররেস আলী ইছা, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ইয়াসমিন আরা হক, শাহ মো. আবু জাফর, কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, মহিলাদলের যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ, কৃষকদলের সহ–সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম নাসির, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ আহমেদ প্রমুখ।