দেশে প্রথমবারের মতো উটপাখির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটালেন গবেষকরা

| মঙ্গলবার , ১৮ জুলাই, ২০২৩ at ৬:২৬ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো উটপাখির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানো হয়েছে। ১১ জুলাই দুপুরে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিকস অ্যান্ড এনিমেল ব্রিডিং বিভাগের গবেষনাগারের ইনকিউবেটরে এই ডিম ফোটান গবেষকরা।

দেড় মাস আগে ইনকিউবিটরের ট্রেতে ছয়টি ডিম বসানো হয়। সেখান থেকে একটি ডিম ফুটে প্রথমবারের মতো ৯৪৮ গ্রাম ওজনের একটি বাচ্চা জন্ম নেয়। খবর বিডিনিউজের। বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষণারত শিক্ষার্থী ৭ম পৃষ্ঠার ৬ষ্ঠ কলাম

তৌহিদুল ইসলাম জানান, দেশে উটপাখি বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে ২০২০ সালে গবেষণা শুরু হয়। ২০২১ সালে প্রথমবারের মতো ১৯টি ডিম ইনকিউবেটরে বসানো হয়। তবে সেখান থেকে কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। এরপর ২০২২ সালে বিভিন্ন ধাপে ৩৬টি ডিম বসানো হয়, কিন্তু সেবারও নিরাশ হতে হয় গবেষকদের। পরে চলতি বছর প্রথমে ১৩টি ডিম বসানো হয়, সেখানে ডিম না ফোটায় আরও ছয়টি ডিম ইনকিউবিটরে বসান গবেষকরা। সেখানকার একটি ডিম থেকে বাচ্চা ফোটে। উটপাখির বাচ্চাটিকে বিভাগের গবেষক ও সংশ্লিষ্টদের সাধনার ফল বলে উল্লেখ করলেন তৌহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, আরও চারটি ডিম ফুটে বাচ্চা বের হবে বলে প্রত্যাশা করছেন তারা।

জেনেটিকস অ্যান্ড এনিমেল ব্রিডিং বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. রাশেদুল ইসলাম বলেন, কৃত্রিম পদ্ধতিতে উটপাখির বাচ্চা ফোটানোর সাফল্যে এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। এই গবেষণা কার্যক্রমকে আরও এগিয়ে নিতে চাই।

এনিমেল সায়েন্স অ্যান্ড নিউট্রিশন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. উম্মে সালমা বলেন, অনেক চেষ্টার পর বাংলাদেশে আমরাই প্রথম ইনকিউবেটরে উটপাখির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটাতে সক্ষম হয়েছি। আমরা এই সাফল্যে খুশি এবং আপ্লুত। এখন আমাদের সাফল্যকে এগিয়ে নিতে আরও বড় পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন।

পোল্ট্রি সেক্টরে প্রেটিনের বিকল্প উৎস হিসেবে উটপাখিকে খামারি পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে এই গবেষণা এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্টরা এগিয়ে আসবেন বলেও প্রত্যাশা এই শিক্ষকের।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলোকালয়ে বন্যহাতির তাণ্ডব, রাঙ্গুনিয়ার পাহাড়ি এলাকায় আতঙ্ক
পরবর্তী নিবন্ধব্রিকস ব্যাংকে যোগ দেওয়ার চুক্তিতে মন্ত্রিসভার সায়