দেশে কোভিড রোগী ছাড়াল ১৯ লাখ

একদিনে আক্রান্তের দেড় গুণ বেশি সুস্থ ঢাকায় ৯২ শতাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত

| রবিবার , ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৬:১১ পূর্বাহ্ণ

ওমিক্রনের দাপটে ১২ দিনে দেশে কোভিড রোগীর সংখ্যা এক লাখ বেড়েছে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় যত রোগী শনাক্ত হয়েছে, তার দেড় গুণ বেশি সুস্থ হয়ে উঠেছে। গতকাল শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ২৩ জন রোগী শনাক্তের খবর দেওয়া হয়। তাদের নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৪ হাজার ৮২৬। এদিকে ঢাকায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৯২ শতাংশের শরীরেই করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে আইসিডিডিআর,বি। বাকি ৮ শতাংশের শরীরে মিলেছে করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরন। খবর বিডিনিউজের।
মহামারীর দুই বছর গড়িয়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি রোগীর সংখ্যা ১৮ লাখ পেরিয়েছিল। তার ১২ দিন পর আরও এক লাখ রোগী যোগ হল। সরকারি হিসেবে এই সময়ে সেরে উঠেছেন ৮ হাজার ৮২১ জন। তাদের নিয়ে এই পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠলেন ১৬ লাখ ৬৪ হাজার ৮০২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২০ জন কোভিড রোগীর। তাদের নিয়ে মহামারীতে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৭৯১। সরকারি হিসেবে দেশে এখন সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ১১ হাজার ২৩৩ জন। অর্থাৎ এই সংখ্যক রোগী নিশ্চিতভাবে সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছে। তবে উপসর্গবিহীন রোগীরা আক্রান্তরা এই হিসাবে আসেনি। করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরনের দাপট পেরিয়ে এসে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুইশর ঘরে নেমে এসেছিল গত বছরের শেষ দিকে। এরপর আসে আরেক নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন, নতুন বছরের শুরু থেকে দ্রুত বাড়তে থাকে সংক্রমণ। এক পর্যায়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়ে যায়। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণের হার ২৮ জানুয়ারি পৌঁছায় ৩৩ শতাংশের রেকর্ড উচ্চতায়। এরপর সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে, ৪ ফেব্রুয়ারি শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমে আসে ১০ হাজারের নিচে। সাত দিনের মাথায় শুক্রবার তা ৬ হাজারের নিচে নামে। শনিবারও ছিল একই ধারা।
গত বুধবার শনাক্ত রোগীর হার কমে ১৮ দশমিক ৮৩ শতাংশে নেমেছিল। শুক্রবার তা আরও কমে ১৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ হয়েছিল। তবে শনিবার এই হার আবার বেড়ে ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ হয়েছে। মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫১ শতাংশ।
ঢাকায় ৯২ শতাংশ রোগীই ওমিক্রনে আক্রান্ত : গতকাল শনিবার গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআরবি জানিয়েছে- ঢাকায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৯২ শতাংশের শরীরেই করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরন পাওয়া গেছে। বাকি ৮ শতাংশের শরীরে মিলেছে করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরন। আইসিডিডিআরবি,র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৫ থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের ভাইরোলজি ল্যাবরেটরিতে ২৪ জন কোভিড আক্রান্তের নমুনা পরীক্ষা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়, ওমিক্রন ধরনের দুটি উপধারা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৮৬ শতাংশই বিএ২, বাকি ১৪ শতাংশ বিএ১ ধরন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিএনপির আন্দোলনের হুমকি ‘হাস্যরস’ সৃষ্টি করে : তথ্যমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধকরোনা মহামারি এ বছরই শেষ : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা